গর্ভবতী মায়েদের খাওয়া দাওয়া – করণীয় এবং বর্জনীয়

গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলাফেরা না করলে যে কোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে বিপত্তি। বিশেষ করে  এই সময়টাতে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় খাবার দাবারের প্রতি বিশেষ নজর রাখা উচিৎ। গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সঠিক রাখার পাশাপাশি গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হয় বলে মায়ের সাধারণ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে আনা দরকার সুশৃঙ্খল পরিবর্তন। আর এর জন্য কি কি করতে পারেন আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে :-
গর্ভকালীন সময়ে কোন ডায়েট নয় :-
গর্ভকালীন সময়ে প্রতিটি নারীর নিশ্চিতভাবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি খাবার-দাবার খেতে হবে, তা না হলে গর্ভস্থ শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে। তাই এ সময়ে কোন প্রকার ডায়েটের কথা চিন্তা করাও যাবে না। ডায়েট করতে গিয়ে নিজের কিংবা সন্তানের বিপদ ডেকে আনবেন না।
ক্যাফেইন, পনির বাদ দিন :-
পনির ও পনির দিয়ে তৈরি খাবার-দাবার, ক্যাফেইনযুক্ত খাদ্যগুলো আপনার শিশুর ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এসব গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। অনেক নারী রয়েছেন যারা এসব খাবার ছাড়া থাকতেই পারেন না। তাঁদের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো  ধীরে ধীরে এসব খাবার গ্রহণ করার পরিমাণ কমিয়ে কমিয়ে এক সময় শুন্যে নামিয়ে আনুন।
প্রোটিন, ফলিক এসিড ও আয়রন :-
আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্য সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে প্রোটিন, ফলিক এসিড ও অয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। আপনার উদরে বেড়ে উঠা শিশুর বৃদ্ধির জন্য এই উপাদানগুলো অনেক বেশি প্রয়োজন।
অল্প বিরতিতে বারবার খাবার খান :-
এক সময় অনেক বেশি খাবার খেতে গেলে মায়ের উপরও চাপ পড়বে, তাই ছোট ছোট বিরতিতে অল্প করে খাবার খেতে শুরু করুন, এতে আপনার রুচিও নষ্ট হবে না আর খেতে কিছুটা স্বস্তি পাবেন। দিনে তিন বেলা না খেয়ে ছোট ছোট বিরতিতে ছয়বার বা তাঁর বেশি খাবার খেতে চেষ্টা করুন।
কোন ফাস্টফুড খাবেন না :-
গর্ভবতী মায়েদের  ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুড একেবারে বাদ দিতে হবে এইসময়। অনেকে আছেন এসব খাবারের প্রতি আসক্ত। কিন্তু আপনার অনাগত শিশুর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে কিছুদিনের জন্য হলেও এসব খাবার গ্রহণ করা থেকে দূরে থাকুন।
গর্ভকালীন ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট :-
গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাব থাকলে তা শিশুর শরীরেও প্রভাব ফেলবে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করতে পারেন অতিরিক্ত মিনারেল এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ওষুধপত্র। তবে তা কখনোই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করবেন নয়। এছাড়া নিশ্চিত হোন আপনি যে  ভিটামিন ওষুধ গ্রহণ করছেন সেগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান ফলিক এসিড রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *