হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান-এর জন্মদিন
জন্মগ্রহণ ও পারিবারিক পরিচিতিঃ আজ থেকে ২৬২ বৎসর পূর্বে ড্রেসডেন শহর থেকে ১২ মাইল উত্তর পশ্চিমে জার্মানির স্যাক্সনী রাজ্যের এলব (Elbe) নদীর তীরে ক্ষুদ্র শহর মিশেন (Meissen) এর শহরতলির Eck-haus নামের একটি ত্রিতল বাড়িতে ১৭৫৫ সালের ১০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। বাড়িটির সামনে দিগন্ত বিস্তৃত দ্রাক্ষালতার উর্বর ভূমি। প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে এ বাড়িটির উচ্চতা বেশী হওয়ায় বাড়িটিকে বহুদূর থেকেই দেখা যায়। চিনামাটির পাত্রের চিত্রশিল্পী গটফ্রাইড হ্যানিম্যান এ বাড়িটি ১৭৫৩ সালের ৬ই এপ্রিল কিনেছিলেন। বাড়ির বাসিন্দাদের আর্থিক অবস্থা বর্তমানে তেমন ভাল নয়। এরই মাঝে উৎকন্ঠা ও আনন্দের মিশ্রণে বাড়ির বাসিন্দাদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে, তার কারণ হচ্ছে বাড়ির গৃহকর্ত্রী গটফ্রাইড হ্যানিম্যানের স্ত্রী প্রসব বেদনায় কাতর। ঘটনার সময় হচ্ছে ১৭৫৫ সালের ১০ই এপ্রিল। চারদিক নীরব নিস্তব্ধ, বে-ওয়ারিশ কুকুরের ডাক ছাড়া আর কোন শব্দ নেই, দূরে গির্জার ঘড়িতে রাত বারটার ঢং ঢং শব্দ শোনা গেল, এর কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির নিচের তলার একটি ঘরে চারদিকের নিস্তব্দতাকে ভঙ্গ করে নবজাতকের চিৎকার ধ্বনি শোনা গেল, সুন্দর এক দেব শিশু ঘোষণা করে পৃথিবীতে তার আগমন বার্তা, বাড়ির সবার চোখে মুখে ফুটে উঠে আনন্দের ঝিলিক। পিতা মাতা পরিজনেরা শিশুর নধরকান্তি অবয়ব দেখে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানালেন। ধর্মের প্রথানুসারে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুটির নাম পারিবারিক উপাধির সাথে মিলিয়ে রাখা হল ক্রিশ্চিয়ান ফেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। হ্যানিম্যান হচ্ছে এ পরিবারের পারিবারিক উপাধি। পরবর্তীকালে হ্যানিম্যান নামেই শিশুটি এক অবিনশ্বর কীর্তির মাধ্যমে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষীর মধ্যে নিজ নাম লেখাতে সমর্থ হয়। বিস্তারিত