কোষ্ঠকাঠিন্য ভয়ানক সমস্যার সমাধান

কোষ্ঠকাঠিন্য ভয়ানক সমস্যার সমাধান

কোষ্ঠকাঠিন্য (ইংরেজী Constipation) একটি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা যখন
একজন ব্যক্তি সহজে মলত্যাগ করতে সক্ষম হন না।
সাধারণত: এক-দুই দিন পরপর মলত্যাগের বেগ হওয়া এবং শুষ্ক ও কঠিন মল নিষ্কাশন কোষ্ঠকাঠিন্য বলে পরিচিত। ডাক্তারদের মতে কেউ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করার পরও প্রতি সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানায় যায় তখনই এই অবস্থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এ অবস্থায় পায়খানায় দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও মল পরিষ্কার হয় না। ডাক্তার বলেন যে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তা সারাই করার পরিবর্তে কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সেভাবে চলাই শ্রেয়।অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অনিদ্রা, কায়িক শ্রমের অভাব ইত্যাদির কারণে হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে আছে। বয়স যা-ই হোক না কেন, কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন বেশিরভাগ মানুষ। কোষ্ঠকাঠিন্যকে আপাতদৃষ্টিতে তেমন ভয়ানক সমস্যা বলে মনে না হলেও এ থেকে কিন্তু হতে পারে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হোন। কৃত্রিম ওষুধপত্রের চেয়ে প্রকৃতিতে থাকা ওষুধই বেশি কাজে দেয় এক্ষেত্রে।

জেনে নিন ৩টি আয়ুর্বেদিক উপায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অব্যর্থ।

১. প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে একটি খোসাসহ পুরো আপেল খান। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক কাপ কুসুম গরম পানি পান করুন। এটা হজমে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করবে।

২. বড় ১টি সাদা এলাচ এক কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালবেলা এই এলাচটি থেঁতো করে দুধসহ খেয়ে ফেলুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাটি যদি ভয়াবহ রকমের বেশি হয় তাহলে সকাল ও রাতে একইভাবে দুধসহ এলাচ খান।

৩. এ নিয়মটি সহজ আবার একটু কষ্টসাধ্যও বটে! রাতের শোবার আগে এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। বাম কাত হয়ে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে চিত হয়ে শোন। হাত দুপাশে রেখে পা উপর দিকে ওঠাতে থাকুন। যতটুকু পারেন। এবার ধীরে ধীরে পা নামিয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকবার করলেই আপনার টয়লেট পেয়ে যাবে। আর যদি এতেও কাজ না হয় তাহলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন। এরপর আবার পা ওঠা-নামা করতে থাকুন।

আর সব শেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুক,,♥♥


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *