ছোট হাতার টপ বা ব্লাউজ দারুন লাগে। কিন্তু, সমস্যা হল আন্ডার আর্মের বা গোপনাঙ্গের কালো দাগ। হাত তুললেই লজ্জা। এই কালো ছোপ দেখতেও খুব বিচ্ছিরি। বগলের নিচের কালো দাগ খুব একটা দেখা না গেলেও নিজের কাছে অস্বস্তি লাগে অধিকাংশ মানুষেরই। নানান কারনে হতে পার এই দাগ। বংশগত কারনে, অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহারের কারনে, ডায়াবেটিস এর কারনে কিংবা হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কারনে সৃষ্টি হতে পারে এ ধরনের বিচ্ছিরি দাগের। কি করবেন এমন দাগ হয়ে গেলে? চিন্তার কিছু নেই। গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করার আছে কিছু ঘরোয়া উপায়। জেনে নিন সহজ উপায় গুলো।
স্ক্র্যাবিং অনেক সময় মৃত চামড়ার কারণে বগলে বিচ্ছিরি কালো দাগ হয়ে যায়। তাই মৃত চামড়া সরিয়ে ফেলতে পারলে বগলের কালো দাগ অনেকটাই কমে যায়। আর মরা চামড়া পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করা।
জেনে নিন স্ক্র্যাবিং এর দুটি পদ্ধতি।
আধা চা চামচ লবণ, দুই চামচ গোলাপ জল, সামান্য জনসন বেবি পাউডার মিশিয়ে বগলের নিচে কিছুক্ষন ঘষে নিন। ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করুন দেখবেন গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর হবে।
লেবুর খোসায় চিনি লাগিয়ে নিন। এবার চিনি সহ লেবুর খোসাটি বগলের ত্বকে ভালো করে ঘষুন। নিয়মিত ব্যবহারে ফলাফল পাবেন।
আলুর রস বগলের কালো দাগে নিয়মিত আলুর রস ব্যবহার করুন।
আলুর রস প্রাকৃতিক ভাবে দাগ দূর করতে সহায়তা করে। তাই সপ্তাহে অন্তত দিন দিন বগলের ত্বকে আলুর রস লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। ধীরে ধীরে বগলের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
বেকিং সোডা বগলের কালচে দাগ ওঠাতে বেকিং সোডা বেশ কার্যকরী। বেকিং সোডার সাথে সামান্য জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রনটি বগলের নিচের ত্বকে ভাল করে ঘষে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে চার বার ব্যবহার করুন। এতে ধীরে ধীরে বগলের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
শেভিং এর বদলে ওয়াক্সিং বগলের ত্বকে শেভিং করার বদলে ওয়াক্সিং করুন। ওয়াক্সিং করলে ত্বকের গভীর থেকে লোমকূপ উঠে আসে এবং ত্বক কালচে দেখায় না। এছাড়াও নিয়মিত ওয়াক্সিং করলে ধীরে ধীরে বগলের কালো দাগ কমে যায়।
দেহের স্পর্শকাতর গোপন অঙ্গ যেমন – বগল, দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থান, প্রজনন অঙ্গ, হিপ, কোমরের ভাঁজ ইত্যাদি স্থানে কারো দাগ খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। পোশাকের ঘর্ষণে অথবা অবাঞ্চিত লোম পরিস্কার করার কারণে এই সব জায়গায় কালো দাগ পড়ে। আবার যাদের ওজন একটু বেশী তাদের ক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যা বেশী হয়।
শরীরের গোপন ভাঁজগুলিতে কারো দাগ একান্ত ব্যাক্তিগত মুহূর্তে আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আর এই সমস্যা নিয়ে আপনি কারো কাছেই যেতে পারছেন না। ভাবছেন এখন কি করবেন? যেহেতু এসব অঙ্গের যত্ন নিতে পার্লারে যেতে চান না এবং ওখানে সব ধরণের পণ্য ব্যবহার করা যায় না, তাই এর সমাধান খুঁজতে হবে ঘরেই।
জেনে নিন স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ দূর করার দারুণ ঘরোয়া উপায়।
১) দাগ-ছোপ তুলতে সবচেয়ে বেশি কাজ দেয় অ্যালোভেরা। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে আন্ডারআর্ম, ঘাড়, কনুই, উরুর ভিতরের অংশ, হাঁটু ইত্যাদিতে ভাল করে মেখে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই জেলটি শুকিয়ে যাবে। সারা রাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। দু’একদিনের মধ্যেই পরিবর্তন চোখে পড়বে।
২) একটি পাত্রে অল্প হলুদ, মধু অথবা টক দই আর এক কোয়া লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটি গোসলের আগে আন্ডারআর্মে কিছুক্ষণ লাগিয়ে তার পরে ধুয়ে ফেলুন। রোজ না পারলেও সপ্তাহে দুই দিন করুন।
৩) পাতলা করে আলু কেটে তার উপরে কয়েক ফোঁটা জল ফেলে ভিজিয়ে নিন। তার পরে সেটি ঘাড়, গলার ভাঁজ, আন্ডারআর্ম ও কনুইয়ে ঘষতে থাকুন। আলুর রস মৃতকোষ তুলতে সাহায্য করে।
৪) পাকা পেঁপে চটকে তার মধ্যে অল্প ময়দা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। সপ্তাহে একদিন গোসলের আগে ঘাড়, হাত, গলা, কোমরের নীচের অংশ, নিতম্বের তলার দিক ও উরুর ভিতরের দিকে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে অল্প টান ধরলে ধুয়ে ফেলুন।
৫) উরুর ভিতরের অংশের কালো ছোপ দূর করতে ভাল কাজ দেয় চিনি মধু ও লেবুর জলের মিশ্রণ। প্রতিদিন গোসলের আগে আঙুলে এই মিশ্রণটি নিয়ে উরুতে আস্তে আস্তে ঘষতে থাকুন ক্লকওয়াইজ ও অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ। এক একটি উরুতে অন্তত ৫ মিনিট।
৬) নিতম্বের ভাঁজে, উরু ও যৌনাঙ্গের মিলনস্থল বা কুঁচকিতে কালো ছোপ দূর করতে ভাল কাজ দেয় ওটস। শুকনো ওটসের দানার সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তার পরে ওই অংশগুলিতে পেস্টটি দিয়ে স্ক্রাবিং করুন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন করুন।
৭) লিকোরিস এক্সট্রাক্ট অয়েল রয়েছে এমন স্ক্রাব বাজারে পাওয়া যায়। যাঁদের পেস্ট তৈরি করার সময় থাকে না সপ্তাহের ব্যস্ত দিনে তাঁরা এই স্ক্রাব সপ্তাহে দু’তিনবার ব্যবহার করুন নিম্নাঙ্গের গোপন ভাঁজগুলিতে।
৮) দীর্ঘক্ষণ অন্তর্বাস পরে থাকলে মেয়েদের স্তনের নীচের অংশেও ঘাম ও মৃতকোষ জমে ছোপ পড়ে যায়। নিয়মিত গোসলের আগে সর-ময়দার পেস্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষতে হবে। একটু ঘষলেই দেখা যাবে ময়লা উঠছে। তাছাড়া সপ্তাহে দুই দিন অল্টারনেট করে উপরে দেওয়া চিনি-মধুর মিশ্রণ ও ওটস পেস্ট লাগাতে থাকলে উঠে যাবে কালো ছোপ।
সমাধান হোমিও হল সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না। মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।এরপরও আপনাদের কোন প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন, আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব। ধন্যবাদ সমাধান হোমিও হল সাইটের সাথে থাকার জন্য।