মূত্রনালির ক্যানসার ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

এই ক্যানসারটি সাধারণত মূত্রনালিতে সংক্রামনিত হয়ে থাকে। এর ফলে মূত্রনালি প্রস্রাব নির্গমন করে এবং পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণুও বহন করে।যা পুরুষাঙ্গের মধ্যে এবং মেয়েদের যৌনাঙ্গের সামনে অবস্থিত থাকে।এর ফলে মূত্রনালির ক্যানসার কদাচিৎ দেখা যায়। অনেক সময় মূত্রথলির ক্যানসারের সঙ্গে হয়ে থাকে। বেশির ভাগ সময় স্থানীয় জায়গায় বিস্তৃত অবস্থায় ধরা পড়ে।

মূত্রনালির ক্যানসারের প্রাথমিক কোনো কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ঝুঁকিপূর্ণ বস্তুর মধ্যে মূত্রথলির ক্যানসার, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস এবং যৌনরোগীদের এ রোগ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এছাড়া ষাটোর্ধ্ব বয়সে বহুদিন ধরে মূত্রনালির প্রদাহ এবং ধূমপানের কারণে হতে পারে।
মূত্রনালির ক্যানসার লক্ষণগুলো :-
প্রাথমিক অবস্থায় কোনো লক্ষণ এখনো ধরা পরেনি। তবে এর বিকাশের ফলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
  • প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া,
  • রাত্রে ঘন ঘন মূত্রের বেগ হওয়া,
  • মূত্রনালি থেকে রক্ত ও রস ঝরা এবং ফুলে যাওয়া,
  • মূত্রের মধ্যে রক্ত যাওয়া ও
  • প্রস্রাব অজান্তে ঝরে যাওয়া।
মূত্রনালির ক্যানসার চিকিৎসা :-
প্রথমত এর চিকিৎসা রোগের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও এই রোগের চিকিৎসার জন্য রোগীর বয়স, লিঙ্গ, রোগের বিস্তৃতির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। তবে এই রোগের জন্য যেসব চিকিৎসাগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি অন্যতম। এর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরশীল চিকিৎসা সার্জারি এবং অগ্রবর্তী রোগীদের কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :-
নির্ভয়ে যে কেউ এ রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। তবে যেকোন প্রকার ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি গ্রহণ করার পূর্বেই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাটা নিতে হবে কারণ কেমোথেরাপি নেয়ার পর কোন হোমিও ঔষধই আর কাজ করে না।

Leave a Reply