পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের কামোন্মাদনা (Nymphomania) – কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা

যৌন বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার সময় আমরা দেখেছি স্ত্রীলোকের কামোন্মাদনার (Nymphomania) সমস্যাটিকেও অনেক যৌন বিশেষজ্ঞ বেশ গুরুত্বের সাথেই তুলে ধরেছেন। তবে এটি পুরুষদের মধ্যেও দেখা যায়। আধুনিক যৌন বিজ্ঞান ইহাকে একটি বিশেষ রোগ বলে চিহ্নিত করেছে। বাস্তবিকও তাই। “আধুনিক হোমিওপ্যাথি ঢাকা” তে বেশ কয়েকজন রোগিনীকে সফল হোমিও চিকিত্সা দিয়ে আমরা আরোগ্যও করছি।

কিন্তু একটি বিষয় লিক্ষনীয় যে, এই রোগটির প্রতি অনেক ডাক্তারই ততটা মনোযোগ দেন না। দেশের প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথ এবং “আধুনিক হোমিওপ্যাথি ঢাকা” এর চিকিৎসক ডাক্তার হাসান তার কেইস স্টাডিতে বলেন, স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে সমস্যাটির পেছনে রোগিনীর বেশ কিছু শারীরিক কারণও বিদ্যমান থাকে। তাই সেদিকে যথাযথ দৃষ্টি রেখে রোগিনীর চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন – প্রপার ট্রিটমেন্ট করা না হলে এর ফলে কিছু দূরারোগ্য ব্যাধিরও সৃষ্টি হতে পারে।

এবার আসুন বিষয়টির বিস্তারিত বিশ্লেষণে যাই। আমরা অনেক নারী ও পুরুষদেরকেই এই রোগটির কারণে খারাপ বলে অবহিত করে থাকি। অথচ প্রকৃত কারণটি খুঁজে দেখি না। দুর্নিবার কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার জন্য মান মর্যাদা, লজ্জা ও ভয় পরিত্যাগ করে থাকে এবং ন্যায় অন্যায়, ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা যখন থাকে না তখন তাকেই কামোন্মাদনা বা Nymphomania বলা হয়ে থাকে। তবে এতে স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়ই আক্রান্ত হতে পারে।

সর্বদা অশ্লীল বা কামোদ্দীপক চিন্তা বা কল্পনা, অশ্লীল পুস্তকাদি পাঠ, ভোগ বিলাসিতা, আলস্য, জনন ইন্দ্রিয়ের বিকৃতি, নারী জননঅঙ্গে ইনফেকশন প্রভৃতি কারণে এই রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানসিক কারণও এর পেছনে কাজ করে। যার কারণে অনেক যৌন বিজ্ঞানী ইহাকে এক প্রকার মানসিক রোগ বলেও অবহিত করে থাকেন। এ বিষয়ে তারা যে যুক্তি উপস্থাপন করেন তা হল – এর ফলে মনের উপর অত্যন্ত খারাপ প্রভাব সৃষ্টি হয় এবং তা  মানসিক চিন্তাকে বিঘ্নিত করে থাকে। এতে অতিশয় কামেচ্ছার সৃষ্টি হয় এবং তা চরিতার্থ করার জন্য ব্যক্তির বুদ্ধি বিবেচনা শক্তি একেবারে লোপ পায়।

শুধু তাই নয় এর ফলে কতগুলি খারাপ লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে যেমন – উলঙ্গ হওয়া, হস্তমৈথুন করা, অশ্লীল ইসারা করা, সর্বদাই মনে মনে কামভাব পোষণ করা ইত্যাদি। এই জাতীয় ব্যাধির যথাযথ চিকিত্সা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। কেউ এতে আক্রান্ত হয়ে থাকলে কোন প্রকার সংকোচ না করে অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের শ্মরনাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ, এর যথাযথ চিকিত্সা করা না হলে নানা প্রকার মানসিক এবং শারীরিক রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। অবসাদ, দুর্বলতা এবং অনেক সময় ক্ষয় রোগও হয়ে থাকে।


Leave a Reply