দ্রুত বীর্যপাত এর স্থায়ী সমাধান কি ?

আসুন প্রথমেই জেনে নেয়া যাক, দ্রুত বীর্যপাত বা Premature Ejaculation মানে কি? যৌনমিলনের সময় যোনিতে মৈথুন করা শুরু করার সামান্য কিছুক্ষন পরেই এবং কিছু ক্ষেত্রে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের পূর্বেই Foreplay এর মাঝে ছেলেদের বীর্যস্খলন হয়ে যাওয়াকে দ্রুত বীর্যপাত বলে। যাদের এ প্রবনতা আছে বলে ধরা হয় তাদের মূলত যৌনমিলনের মৈথুন বা হস্তমৈথুন করার সময় ১-৫ মিনিট এর মধ্যেই বীর্যস্খলন ঘটে যায়। আমাদের দেশের তরুণরা সাধারণত বিয়ের আগে নানা প্রকার যৌন অনাচারে অভ্যস্থ হয়ে এ সমস্যাটির সৃষ্টি করে থাকে।
স্বাভাবিক অবস্থায় এ সময় সাধারনত ৫ থেকে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেহেতু কমবেশি সব মেয়েরই Foreplay’র মাধ্যমে মোটামুটিভাবে যৌনত্তেজিত হওয়ার পরও, যোনি মৈথুনে অর্গাজম হতে কমপক্ষে ৫-৭ মিনিট সময় লাগে তাই ১-৫ মিনিটের এত সংক্ষিপ্ত মিলনে তার তৃপ্তি হয়না বলাই বাহুল্য। তাছাড়া ছেলেদেরও সামান্য সময়ের এই মিলনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অর্গাজম হয়না। এপ্রসঙ্গে অনেকেরই একটা ভুল ধারনা এই যে ছেলেদের বীর্যপাত মানেই অর্গাজম। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে, বীর্যপাত আর অর্গাজম সম্পূর্ন আলাদা দুটি অবস্থা। এটা ঠিক যে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ছেলেদের যখনই অর্গাজম হয় তাদের বীর্যপাত ঘটে। কিন্ত অনেক সময় ছেলেটি পরিপূর্ন উত্তেজিত না থাকলে, তার বীর্যস্খলন হলেও অর্গাজম নাও হতে পারে। তবে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যায় কেউ আক্রন্ত হলে এর সুচিকিৎসা ছাড়া এ থেকে নিস্তার পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই কোন প্রকার সংকোচ না করে ঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসা নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার বেশ কিছু কারণ থাকে যার অধিকাংশ সময় ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা রোগীর Characteristics symptoms দেখে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন যা মূল কারণটাকে নির্মূল করে দেয় যার কারণে দ্রুত বীর্যপাত বলেন আর পরুষের অন্যান্য সমস্যাসমূহ বলেন সব গুলিকে দূর করতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বরাবরই সিদ্ধ হস্ত এ বিষয়ে আপনারা অনেকেই হয়ত অবগত আছেন।
অনেকেই আমাকে ঔষধের নাম উল্লেখ করতে অনুরোধ করে থাকেন। কিন্তু তাতে বিপত্তিটাই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ অ্যালোপ্যাথির মত কিনে এনে খেয়েই আপনি রেজাল্ট আশা করেতে পারবেন না যদি আপনি একজন হোমিওপ্যাথ না হন । আপনারা অনেকই হয়তো জানেন না যে, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ Person to Person vary করে। তাছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হোমিওপ্যাথরা ঔষধ প্রয়োগ করেন Characteristic Symptoms পর্যালোচনা করে। তখন খুব দ্রুত রোগীদের সুস্থ করে তোলা যায়। আপনি যদি কোন একটা হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নাম আপনার বন্ধুর কাছ থেকে শুনেন আর সেটা গ্রহণ করতে শুরু করেন, দেখা যাবে আপনার Characteristic Symptoms এর সাথে পুরোপুরি সদৃশ না হওয়ার কারণে সেই একই রোগেরজন্য প্রয়োগ করা সত্তেও ঔষধটি আপনার ক্ষেত্রে কাজ করছে না, তখন হয়ত আপনি মনে মনে হোমিওপ্যাথির পুরো গুষ্ঠি পর্যন্ত উদ্ধার করতে কার্পন্য করবেন না।
আবার অনেকের ধারণা হোমিও ঔষধ দেরিতে কাজ করে। এটাও ঠিক নয়। হোমিওপ্যাথি অ্যালোপ্যাথি ঔষধের মতই দ্রুত কাজ করে। কারণ এটা হলো like as atomic power. কিন্তু দেখা যায় আমাদের কাছে রোগীরা আসেন তাদের রোগের একেবারে জটিল পর্যায়ে। এবার বিষয়টা আপনিই চিন্তা করুন। প্রাথমিক অবস্থায় যেকোন ব্যাধিই হোমিওপ্যাথরা খুব দ্রুত সারিয়ে ফেলেন কিন্তু রোগটি যখন ক্রনিক হয়ে যায়, আর অ্যালোপ্যাথিও যেখানে কাজ করে না তখন রোগীরা আমাদের কাছে এসে বিস্তর তাড়াহুড়া শুরু করে দেন। সেই মুহুর্তে আমাদের যে কি.. পরিমান সহনশীলতার পরিচয় দিতে হয় সেটা একজন হোমিওপ্যাথ ছাড়া আর কেউ বুঝবেন না। অথচ প্রথমিক পর্যায়ে সমস্যাটা খুব দ্রুতই সারিয়ে তোলা সম্ভব। তাই যৌনরোগসহ যেকোন রোগের শুরুতেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply