♦♦ গ্যাস্ট্রিক , এসিডিটি বা বুকজ্বলা সমস্যার সমাধান

image

হার্টবার্ন বা পাইরোসিস বলতে গলা ও মুখের মধ্যে টক বা তিক্ত স্বাদসহ নিম্ন বুকে জ্বলা অনুভূতিকে বুঝানো হয়। সাধারণতঃ এটা প্রয়োজনাতিরিক্ত খাবার খেলে বা শোয়ার সময় দেখা দেয়। জ্বলা অনুভূতি কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘন্টার জন্য স্থায়ীহতে পারে। আসলে বুক জ্বলা ( Heartburn ) পরিপাক ত্বন্ত্রের খাদ্যনালীর রোগ, যাহাতে খাদ্য, পাকস্থলি অ্যাসিড(HCl) এবং পাচক এনজাইমের উল্টা প্রবাহ বাপাকস্থলি থেকে মুখের দিকের প্রবাহ। এটা মূলত পাকস্থলি চারপাশের পেশী শিথিল হওয়ার কারণে যা ঘটে। বুকের ব্যথা, হৃদপিন্ডের ব্যথার(Angina) সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয় যদিও হৃদপিন্ডের ব্যথার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। বুকজ্বলা কিছু ঔষধ, ডায়াবেটিস, হায়াটাল হার্নিয়া(যখন পাকস্থলি উপর দিকে ডায়াফ্রামে চাপ দিতে থাকে তখন ডায়াফ্রামস্থিত পাকস্থলি মুখ[Hiatus] সরু হয়ে যায়, ফলে অন্ননালিতে হার্নিয়া দেখা দেয়) এবং কিছু অটোইমিউন রোগের কারণেও হতে পারে। বুকজ্বলা পুনঃপুন আক্রমন ঘটলে অনেক অস্বস্তি লাগতে পারে। বুকজ্বলার কারণে অন্ননালী এবং পাকস্থলি প্রদাহসহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ লক্ষণ ঘন ঘন ফিরে আসলে এবং সঠিক চিকিত্সা না করা হলে কয়েক সপ্তাহ, মাস বা তার বেশি দিন স্থায়ী হতে পারে ।
কারণসমূহঃ* হায়াটাল হার্নিয়া (যখন পাকস্থলি উপর দিকে ডায়াফ্রামে চাপ দিতে থাকে তখন ডায়াফ্রামস্থিত পাকস্থলি মুখ[Hiatus] সরু হয়ে যায়, ফলে অন্ননালিতে হার্নিয়া দেখা দেয়)
* গর্ভকালীন সময়
* নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের জন্য
* ভারি খাবার বা বেশি খাবার খাওয়ার জন্য
* অ্যালকোহল সেবনের জন্য
* চকলেট খাবার জন্য
* মসলাযুক্ত বা চর্বিজাতীয় খাবার জন্য
* কার্বনেটেড পানীয়র জন্য (Pepsi, RC, Coka-cola etc.)
* পিপারমেন্ট (Peppermint)
* ধূমপান
* খাবার পরেই ব্যায়াম করলে
* মানসিক চাপ (Stress)
* স্থূলতা (Obesity)
* খাবার পরপরই শোয়ে পড়লেলক্ষণঃ
* বুকে ব্যথা
* গলা ব্যথা
* নিম্ন বুকে জ্বলা
* পাকস্থলিতে অস্বস্তি
* পাকস্থলি থেকে খাবার, পাকস্থলি অ্যাসিড(HCl) এবং পাচক এনজাইমের উল্টা প্রবাহ বা পাকস্থলি থেকে মুখের দিকের প্রবাহ (Reflux)।
* গলা ও মুখের মধ্যে টক বা অ্যাসিড স্বাদঅন্তর্ভুক্ত কিছু অতিরিক্ত লক্ষণ
* গলায় ক্ষত (Sore throat)
* ল্যারিংস প্রদাহ (Laryngitis)
* বুকে সাঁই সাঁই শব্দ (Wheezing)
* নিউমোনিয়া
* মাড়ি প্রদাহ (Gingivitis)
* শ্বাসে দুর্গন্ধ (Bad breath)
* কান ব্যথা (Earache)প্রতিকারঃ
* পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে (কমপক্ষে ৩লিটার)
* খাবার সময় পানি পান না করাই ভাল। খাবার খাওয়ার কমপক্ষে আধা ঘন্টা পানি পান করা ভাল।
* খাবার আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেতে হবে যাতে লালার সাথে ভালভাবে মিশতে পারে।
* সকালে খালিপেটে কমপক্ষে চারগ্লাস পানি পান করা উত্তম।
* ধুমপান ত্যাগ করা উচিত।
* বেশি চা পান না করা।এছাড়াও উপরুল্লিখিত কারণগুলো থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
পরীক্ষাঃ
* Esophagioscopy and Gastroscopy- ক্ষত নির্ণয়ের জন্য।
* Esophageal manomatric studies- খাদ্যনালী রিফ্লাক্স নির্ণয়ের জন্য।
* Acid barium swallows- খাদ্যনালীর প্রদাহ নির্ণয়ের জন্য।
* Ambulatory ph monitoringহোমিওপ্যাথি চিকিত্সাঃহোমিওপ্যাথি ওষুধ সবচেয়ে জনপ্রিয় রোগ নিরাময়ের একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও সদৃশ উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। এটি উপসর্গও জটিলতা মুছে ফেলে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থায় রোগীর ফিরে যাবার একমাত্র উপায়। সদৃশবিধানের লক্ষ্য শুধু বুকজ্বলা চিকিৎসাই নয়, রোগের অন্তর্নিহিত কারণ এবং স্বতন্ত্র প্রবণতা মোকাবেলায়ও সহায়তা করে। স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন এবং চিকিত্সার জন্য, রোগীকে অবশ্যই যোগ্যতাসম্পন্ন ও রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা

image

যোগাযোগ করুণ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *