রাজশাহী সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি:

খোশ আমদেদ মাহে রমজান ২০২০,

সমাধান হোমিও হল পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। বছর ঘুরে আবারো মানবতার সুমহান আদর্শ নিয়ে মুসলমানদের দরবারে হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। শান্তি, সমপ্রীতি, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংযমের বার্তা নিয়ে প্রতি বছর বিশ্ববাসীর কাছে হাজির হয় পবিত্র কুরআন ঘোষিত শ্রেষ্ঠ মাস পবিত্র মাহে রমজান। 

এবারের রমজান মাস টি বিশ্ববাসীর কাছে একটু ব্যতিক্রম, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ দেশেই চলছে লকডাউন। আর তাই মুসলমানরা বাসায় অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই এবারের রমজানের রোজা পালন করবেন।

২৪ এপ্রিল (শুক্রবার) রমজানের চাঁদ দেখা গেলে ২০২০ সালের রমজানের প্রথম রোজা হবে ২৫ এপ্রিল। যেহেতু রমজানের রোজা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। শাবান মাসের ২৯ তারিখ (২৪ এপ্রিল) যদি রমজানের চাঁদ দেখা যায় তবে ২৪ তারিখ তারাবিহ পড়ে ভোর রাতে সেহরি খেতে হবে। ২৫ এপ্রিল হবে রমজানের প্রথম রোজা। শাবান ৩০ দিন পূর্ণ হলে সে হিসেবে রমজানের প্রথম রোজা হবে ২৬ এপ্রিল।

২০২০ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। প্রতি বছরের নেয় দেশবাসীর সুবিধার্থে সমাধান হোমিও হল

পক্ষ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মাহে রমজানের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী জানিয়ে দেওয়া হলো।

ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি:

রহমতের ১০ দিন

রমজানতারিখদিবস

সেহরীর

শেষ সময়

ইফতারের

সময়১*২৫ এপ্রিলশনিবার৪:০৫৬:২৮২২৬ এপ্রিলরবিবার৪:০৪৬:২৯৩২৭ এপ্রিলসোমবার৪:০৩৬:২৯৪২৮ এপ্রিলমঙ্গলবার৪:০২৬:২৯৫২৯ এপ্রিলবুধবার৪:০১৬:৩০৬৩০ এপ্রিলবৃহস্পতিবার৪:০০৬:৩০৭১ মেশুক্রবার৩:৫৯৬:৩১৮২ মেশনিবার৩:৫৮৬:৩১৯৩ মেরবিবার৩:৫৭৬:৩২১০৪ মেসোমবার৩:৫৫৬:৩২

মাগফেরাতের ১০ দিন

রমজানতারিখদিবস

সেহরীর

শেষ সময়

ইফতারের

সময়১১৫ মেমঙ্গলবার৩:৫৪৬:৩৩১২৬ মেবুধবার৩:৫৩৬:৩৩১৩৭ মেবৃহস্পতিবার৩:৫২৬:৩৪১৪৮ মেশুক্রবার৩:৫১৬:৩৪১৫৯ মেশনিবার৩:৫০৬:৩৫১৬১০ মেরবিবার৩:৫০৬:৩৫১৭১১ মেসোমবার৩:৪৯৬:৩৬১৮১২ মেমঙ্গলবার৩:৪৯৬:৩৬১৯১৩ মেবুধবার৩:৪৮৬:৩৬২০১৪ মেবৃহস্পতিবার৩:৪৮৬:৩৭

নাজাতের ১০ দিন

রমজানতারিখদিবস

সেহরীর

শেষ সময়

ইফতারের

সময়২১১৫ মেশুক্রবার৩:৪৭৬:৩৭২২১৬ মেশনিবার৩:৪৭৬:৩৮২৩১৭ মেরবিবার৩:৪৬৬:৩৮২৪১৮ মেসোমবার৩:৪৬৬:৩৯২৫১৯ মেমঙ্গলবার৩:৪৫৬:৩৯২৬২০ মেবুধবার৩:৪৪৬:৪০২৭২১ মেবৃহস্পতিবার৩:৪৪৬:৪০২৮২২ মেশুক্রবার৩:৪৩৬:৪১২৯২৩ মেশনিবার৩:৪৩৬:৪২৩০*২৪ মেরবিবার৫:৩১৬:৪২

* চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল

ঢাকার সময়ের থেকে বাড়াতে হবে:জেলার নামসেহরিইফতারগাজীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠী, বরগুনা১ মিনিট১ মিনিটময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বাগেরহাট, জামালপুর, শেরপুর, মানিকগঞ্জ২ মিনিট২ মিনিটফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা৩ মিনিট৩ মিনিটমাগুড়া, রাজবাড়ী, পাবনা৪ মিনিট৪ মিনিটসাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, যশোর, রংপুর, ঝিনাইদহ৬ মিনিট৬ মিনিটনিলফামারী চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা৬ মিনিট৬ মিনিটরাজশাহী, বগুড়া, মেহেরপুর, লালমনির হাট৭ মিনিট৭ মিনিটচাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর৮ মিনিট৮ মিনিটদিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়৬ মিনিট১১ মিনিট

ঢাকার সময়ের থেকে কমাতে হবে:জেলার নামসেহরিইফতারনরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, মুনশীগঞ্জ, চাঁদপুর১ মিনিট১ মিনিটকিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর২ মিনিট২ মিনিটনেত্রকোনা, কমিল্লা, বি-বাড়িয়া৩ মিনিট৩ মিনিটনোয়াখালী, ফেনী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ৪ মিনিট৪ মিনিটচট্টগ্রাম৫ মিনিট৫ মিনিটকক্সবাজার, সিলেট, মৌলভী বাজার৬ মিনিট৬ মিনিটখাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান৭ মিনিট৭ মিনিট

রোজার নিয়ত:

বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।

অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।

মাসআলা: কেউ যদি ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে। তখন এভাবে নিয়ত করবে:

ইফতারের দোয়া:

বাংলায় উচ্চারণ: (আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন)

অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

ইফতার-এর সুন্নত আমলসমূহ:

  • খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত। আমাদের নবীজি খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন।
  • ওয়াক্ত হওয়া অর্থাৎ আযান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। হাদীছে কুদসী শরীফ-এ রয়েছে, আল্লাহ পাক বলেছেন: “আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ওই ব্যক্তিরাই যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে অর্থাৎ সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে।” কিন্তু সময় হয়নি এমন অবস্থায়
  • দ্রুত পানাহার করলে ক্বাযা-কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • ইফতার করার পূর্বে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
  • কোন রোযাদারকে ইফতার করানো। এটি একটি অত্যধিক ফযীলতপূর্ণ কাজ।

বিঃ দ্রঃ সকলকেই সাহরীর ও ইফতার-এর সময়ের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। যেনো কোনো অবস্থাতেই সময় কম বা বেশি না হয়। আর তাই অনেক কামেল ব্যক্তিবর্গ মনে করেন সেজন্য সাবধানতার নিমিত্তে সাহ্রী-এর সময় থেকে ৫ মিনিট কমিয়ে ও ইফতারী-এর সময় থেকে ১/২ মিনিট বাড়িয়ে সাহরী ও ইফতার করা উচিত। একটি হাদিস শরীফে আছে ইফতার ও সাহরীর ঘোষণার জন্য সাইরেন বাজানো হারাম। তবে ইফতারীর জন্য আযান দেয়া আর সাহরীর জন্য মুখে বা মাইকে ঘোষণা দেয়াই সর্বোত্তম।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহ:

  1. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
  2. স্ত্রী সহবাস করলে ।
  3. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
  4. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
  5. নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
  6. জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
  7. ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।
  8. কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
  9. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
  10. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
  11. দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
  12. ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
  13. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
  14. রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
  15. মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।

রোজার মাকরুহগুলো:

  • অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা
  • কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা
  • গড়গড় করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে
  • ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা
  • গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্থর দিতে অক্ষম
  • সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ
  • অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা
  • কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা

*** কোনরূপ পরিবর্তন বা প্রয়োজনীয় আপডেট পেতে পোস্টটি শেয়ার করে রাখুন ***


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *