জন্ম নিয়ন্ত্রন বা বিরতিকরনের কার্যকর উপায়সমূহ

অনেক সময়ই নানা সমস্যার কারণে জন্ম নিয়ন্ত্রন বা বিরতিকরনের প্রয়োজন হতে পারে। আর জন্ম নিয়ন্ত্রনের রয়েছে বেশ কিছু পদ্ধতি। তবে সব গুলিই যে সব সময় কাজ করে তা কিন্তু নয় আবার কিছু কিছু পদ্ধতি মাঝে মাঝে ভাল ফল দিয়ে থাকে। জন্ম নিয়ন্ত্রন বা বিরতিকরনের উপায় ৩ ধরণের হয়ে থাকে – ওরাল কন্ট্রাসেপশান, ব্যারিয়ার মেথড এবং ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিং ।
জন্ম বিরতিকরনের উপায় কি কি?
  • ব্যারিয়ার মেথড- পুরুষ বা মহিলাদের কনডম ব্যবহার করা। অন্যান্য ব্যারিয়ারের নামগুলো হল- ডায়াফ্রাম, সারভিক্যাল ক্যাপ এবং কন্ট্রাসেপটিভ স্পঞ্জ।
  • হরমোনাল মেথড- জন্ম বিরতিকরন বড়ি, কন্ট্রাসেপটিভ ইমপ্ল্যান্ট, কন্ট্রাসেপটিভ ইঞ্জেকশান এবং কন্ট্রাসেপটিভ প্যাচ।
  • ইন্ট্রোটেরাইন ডিভাইস বা Intrauterine devices (IUDs) – কপার IUD এবং হরমোনাল IUD।
  • স্টেরিলাইজেশান – টিউবাল লাইগেশান, মহিলাদের জন্য Essure or Adiana এবং পুরুষদের জন্য ভ্যাসেক্টমি।
  • প্রাকৃতিক উপায়ে জন্ম নিয়ন্ত্রন – rhythm, basal body temperature এবং cervical mucus methods
কিছু আছে ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপশান যেমন – morning-after pill, অরক্ষিত যৌন মিলন হলে জন্ম বিরত করতে ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপশান ব্যবহার করা হয়।
জন্ম বিরতিকরন পদ্ধতি গুলো কিভাবে কাজ করে ?
বিভিন্ন পদ্ধতি বিভিন্নভাবে উপায়ে জন্ম বিরতিকরনের কাজ করে – যেমন
  • শুক্রানুকে ডিম্বানুর কাছে পৌছতে দেয় না।
  • নিষ্ক্রিয় শুক্রাণু
  • প্রতি মাসে ডিম্বানু মুক্তি রোধ করা।
  • জরায়ুর লাইনিং-এ পরিবর্তন আনে যেন এর সাথে ডিম্বানু না লেগে থাকে।
  • সারভিক্যাল মিউকাসের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয় যেন শুক্রাণু প্রবেশ করতে না পারে।
কোন পদ্ধতি সব থেকে বেশি কার্যকর ?
জন্ম বিরতিকরনের ধারা বজায় রাখতে চাইলে অবশ্যই কোন না কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে যেতে হবে। ইন্ট্রোটেরাইন ডিভাইস বা Intrauterine devices (IUDs), স্টেরিলাইজেশান,কন্ট্রাসেপটিভ ইমপ্ল্যান্ট ইত্যাদি পদ্ধতিতে জন্ম বিরতিকরনের মাত্রা বেশি বা প্রেগন্যান্ট হওয়ার হার সবথেকে কম। তাছাড়া স্বামী স্ত্রী- র নিজেদের প্রচেষ্টারও প্রয়োজন কম। অন্যদিকে monitoring fertility এবং periodic abstinence –এ প্রেগ্ন্যান্সির হার বেশি থাকে। মোট কথা যে পদ্ধতিতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেই পদ্ধতিই আপনার জন্য উপযোগী।
পুনরায় কি সন্তান গ্রহন করা সম্ভব ?
এটা নির্ভর করে কোন পদ্ধতি আপনি বেছে নিচ্ছেন। যদি শিঘ্রই সন্তান গ্রহনের ইচ্ছা থাকে তাহলে এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত যে পদ্ধতি যেকোনো সময় বন্ধ করা যায় এবং অতি অল্প সময়ে পুনরায় সন্তান গ্রহনের যোগ্যতা ফেরত আসে। ওরাল কন্ট্রাসেপশান এবং ব্যারিয়ার মেথড এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি প্রযোজ্য। যদি আপনার অতি শিঘ্র প্রেগন্যান্ট হওয়ার ইচ্ছা না থাকে তাহলে IUD করানো ভালো। IUD – তে খুব দ্রুত ফারটিলিটি আগের অবস্থায় ফেরত আসে। যদি আপনি আর কখনোই সন্তান ধারণ করতে না চান তাহলে স্থায়ী পদ্ধতি গুলোর যেকোনো একটি বেছে নেয়া উচিত যেমন – স্টেরিলাইজেশান। অনেক সময় দেখা যায় জীবনের একেক সময়ে একেক পদ্ধতি বেছে নেয়া বেশি সুবিধাজনক।
এই পদ্ধতিগুলো কোন ধর্মীয় বা সামাজিক বিশ্বাসের পরিপন্থি ?
কিছু কিছু জন্ম বিরতিকরনের উপায় কোন কোন ধর্মের আদর্শের পরিপন্থি। এক্ষেত্রে ধর্মের নির্দেশের সাথে মিল রেখে যেই পদ্ধতি সব থেকে বেশি কার্যকর এবং ভালো  সেই পদ্ধতিটিকেই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *