গরমের রোজা রেখে সারাদিন সুস্থ থাকতে সেহরিতে মেনে চলুন এই ৮ টি বিষয়

মুসলমানদের জন্য এই রমজান মাস অনেক
বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় সকলেই মন
থেকে রোজা করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু প্রতিবছর রোজা একটু এগিয়ে
আসতে থাকে বলে এবার গরমের মধ্যেই
রজার শুরু হচ্ছে। এই জুন মাসের গরমে
রোজা রাখা একটু কষ্টকরই বটে। কারণ
প্রচণ্ড গরম এবং কড়া রোদে বেশীরভাগ
মানুষই পানিশূন্যতায় ভুগে অসুস্থ হয়ে
পড়েন। কিন্তু রোজার মধ্যে
সারাদিনের সুস্থতা অনেকাংশে
আপনার উপরেই নির্ভর করে। সেহরিতে
সঠিকভাবে খাদ্য নির্বাচন এবং কিছু
বিষয় মেনে চললে সারাদিন
সুস্থভাবেই কাটাতে পারবেন। গরমেও
খুব বেশি কষ্ট লাগবে না লম্বা সময়ের
রোজা।
১) গরমকালে সবচাইতে সমস্যা হয়ে যায়
পানির অভাবে। প্রচন্ড রোদ এবং গরমে
দেহ পানিশূন্য হয়ে যায়, তাই
সেহরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান
করে নিন। প্রায় আধা লিটারের মতো
পানি পান করবেন। প্রয়োজনে আরও
বেশি পান করুন, কিন্তু এর চাইতে কম
করবেন না।
২) দেহ পানিশূন্য হয়ে গেলে এমনিতেই
এনার্জি কমে যায়, তাই এমন খাবার
খেতে হবে যা দেহে এনার্জি ধরে
রাখতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ খাবেন
পরিমাণ মতো। এতে ক্ষুধার উদ্রেকও কম
হবে এবং এনার্জিও থাকবে অনেক।
৩) আরও একটি উপায়ে সারাদিন
দেহকে পানিশূন্যতার হাত থেকে
বাঁচাতে পারেন, আর তা হলো
পানিসমৃদ্ধ ফল রাখা সেহরির
তালিকায়। আনারস, কমলা, তরমুজ
ইত্যাদি ধরণের ফল খান প্রতিদিনের
সেহরিতে এতে করেও পুরো দিন সুস্থ
থাকতে পারবেন।
৪) অনেকেরই সকালে চা-কফি পানের
অভ্যাস রয়েছে, তারা রোজা রাখার
কারণে সকালে চা-কফি পানের
অভ্যাসটি সেহরিতেই নিয়ে আসেন।
কিন্তু এই কাজটি করতে যাবেন না।
চা-কফির ক্যাফেইন দেহকে পানিশূন্য
করে ফেলে, তাই সেহরিতে চা-কফি
পান করা থেকে বিরত থাকুন।
৫) অনেকেই পাউরুটি বা শুকনো খাবার
খেয়ে রোজা রাখেন যা গরমের এই
রোজার সময়ে একেবারেই করবেন না।
বিশেষ করে প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট
খাবার, এটি স্বাভাবিকভাবে আপনার
দেহে শক্তি সরবরাহ করবে কিন্তু খুব অল্প
সময়ের জন্য। তারপর আপনার দেহকে
পানিশূন্য করে একেবারেই
এনার্জিবিহীন করে তুলবে। সুতরাং
শুকনো ও প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট
থেকে দূরে থাকুন।
৬) মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত
খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মিষ্টি
খাবার আপনার দেহের এনার্জি
লেভেল একেবারেই নষ্ট করে দেবে
দিনের বেলায় যার কারণে আপনি
দুর্বলতা অনুভব করবেন পুরো দিন।
৭) ভারী খাবার এবং অতিরিক্ত তেল
চর্বি ধরণের খাবার খাবেন না
একেবারেই সেহরিতে। বিশেষ করে
খিচুড়ি, পোলাও বা বিরিয়ানি
ধরণের খাবার তো একেবারেই নয়।
কারণ এগুলো পুরো দিনই আপনার পেটের
সমস্যা ও অস্বস্তির জন্য দায়ী থাকবে।
৮) খেজুর দেহের এনার্জি ধরে রাখার
জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। খেজুর
যে শুধুমাত্র ইফতারেই খেতে হবে এমন
কোনো কথা নেই। সেহরির সময়েও দুটো
খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। এতে
করে পুরো দিন দেহে এনার্জি পাবেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *