অপরাজিতা ফুল শুধুই সৌন্দর্য বর্ধন করে না বিভিন্ন রোগের ও সমাধান করে। জেনে নিন

অপরাজিতা ফুল

ভেষজ নাম /বৈজ্ঞানিক নাম: Clitoria ternatia Linn এটি Popilionaceae এর পরিবার ভূক্ত

ব্যবহার্য অংশ : ফুল, পাপড়ি, মূল ও গাছের লতা।

উত্তোলনের সময় : বছরের যে কোনো সময় সংগ্রহ করা যায়।

চাষাবাদের ধরণ : গাছের ডাল বর্ষা কালে সেঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করতে হয়, ছোট ছোট ধূসর ও কালো বর্ণের বিচি রোদে শুকিয়ে নরম মাটিত রোপন করতে হয়।

আবাদী/অনাবাদী/বনজ : আবাদী ও অনাবাদী বনজ সব ধরনের হয়ে থাক। তবে সাধারণত: বসত বাটির শোভা বর্ধনে বাড়ির আঙ্গিনায় এ গাছ রোপন করা হয়।

উদ্ভিদের ধরণ : এটি একটি লতা জতীয় গাছ। অনেক লম্বা হয়ে থাকে। এর ফুল দুই রঙ্গের হয়ে থাকে । কোনো অবলম্বন পেলে এটি বেড়ে উঠে।

ঔষধি গুণাগুণ : অপরাজিতার ফুল, পাপড়ি, মূল ও গাছের লতায় নানান ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। বয়:সন্ধি কালীন উন্মাদ রোগ, গলগন্ড রোগ,ফুলা রোগ,ঘন ঘন প্রস্রাব, স্বরভঙ্গ, শুষ্ক কাশি, আধকপালে ব্যথা ইত্যাদি রোগে অপরাজিতার ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে।

ব্যবহার :

1. মুর্ছা বা হিস্টিরিয়া: আক্রমনের সময় এর মূল গাছ ও পাতা থেঁতে ছেঁকে ১ চা চামচ রস কোনো রকমে খাইয়ে দিলে সেরে যায়।

2. বয়:সন্ধি কালীন উন্মাদ রোগ:বিবাহযোগ্যা মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারনত:এ রোগের পাদুর্ভাব দেখা যায়। এর চিকিৎসায় এর মূলের ছাল ৩ থেকে ৬ গ্রাম পরিমান নিয়ে শিল বেটে দিনে ২ বার আতবচাল ধোয়া পানি দিয়ে খেতে হয়।

3. গলগন্ড রোগ: এর মূল ৫/৬ গ্রাম আন্দাজ মত ঘি দিয়ে শিলে পিষে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে ভাল হয়ে যায়।

4. ফুলা রোগ: পুরাণো ফুলা রোগে নীল অপরাজিতা পাতা মূল সহ বেটে অল্প গরম করে লাগালে ফুলা সেরে যায়।

5. ঘন ঘন প্রস্রাব: শিশু অথবা বয়ষ্ক যারা ঘন ঘন প্রস্রাব করে এই ক্ষেত্রে সাদা বা নীল অপরাজিতা গাছের মূল সহ রস করে এক চা চামচ প্রত্যহ ২ বার একটু দুধ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

6. স্বরভঙ্গ: সমস্ত লতা পাতা আন্দাজ মত বা দশ গ্রাম থেঁতলে ৪/৫ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ১৫ মিনিট গারগেল করলে সেরে যায়। ৪/৫ দিন করতে হবে।

7. শুষ্ক কাশি: অপরাজিতা মূলের রস ১ চা চামচ আধা কাপ অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানি ১০/১৫ মিনিট মুখেপুরে রেখে গারগেল করতে হবে। গারগেল করার সময় মাথা উঁচু করে রাখতে হবে যেন গলার তালুতে লাগে।

8. আধকপালে ব্যথা: এ রোগে এক টুকরা মূল ও গাছ থেঁতলে ওটার রসের নস্যি নিলে সেরে যায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *