কোলেস্টোরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা আজকাল বেশ নজরে পড়ে। দেহে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু আমাদের অনেকেরই এই কোলেস্টোরল সম্পর্কে বিশেষ কোনো ধারণা নেই। বরং অনেকেই ভুল কিছু ধারণা নিয়ে বসে থাকি। আজকে চলুন জেনে নি কোলেস্টোরল সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য এবং যে তথ্যগুলো আপনি ভুল জানতেন।
১)অনেকের ধারণা কোলেস্টোরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা শুধুমাত্র পুরুষদের হয়, নারীদের হয় না। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল ধারণা। ছেলেদের ৪৫ বছর বয়সের পর এবং নারীদের ৫৫ বছর বয়সের পর অনেক বেশি ঝুঁকি থাকে।২)‘কোলেস্টোরল একটি বংশগত সমস্যা’ এই তথ্যটি একেবারেই ভুল। আপনার দৈনন্দিন জীবন যাপনের সাথে দেহের কোলেস্টোরল বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, বংশের সাথে নেই।৩)অনেকের ধারণা নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টোরলেরসমস্যা দূর করা সম্ভব। এটিও ভুল ধারণা। আপনি যদি জীবনযাপনে পরিবর্তন না আনেন তাহলে কোলেস্টোরলের সমস্যা কখনো দূর করতে পারবেন না শুধুমাত্র ঔষধেরমাধ্যমে।৪)কোলেস্টোরল মানেই খারাপ বলে ভেবে থাকেন অনেকেই। কিন্তু কোলেস্টোরলের দুটি ভাগ রয়েছে। ভালো কোলেস্টোরল এবং খারাপ কোলেস্টোরল যাকে মেডিক্যালের ভাষায় বলা হয় এলডিএল এবং এইচডিএল।৫)কোলেস্টোরল কম থাকা শরীরের জন্য ভালো ব্যাপারটি পুরোপুরি ঠিক নয়। খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কম থাকা ভালো হলেও ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা কম থাকা ভালো নয়। কারণ এতে করে আপনি ভুগতে পারেন ইনফেকশনের সমস্যায়।৬)কোলেস্টোরলের মাত্রা কমে গেলে ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়া ভালো ভাবেন অনেকেই। কিন্তু এটি অনেক বড় বোকামি। কোলেস্টোরলের জন্য আপনাকে সবসময়েই ঔষধ খেয়ে যেতে হবে। আপনি বরং সে সাথে জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে এসেভালো থাকতে পারেন।৭)কোলেস্টোরলের সমস্যা শুধুমাত্র মোটা মানুষেরই হয়ে থাকে এটিও ভুল ধারণা। চিকণ মানুষেরা যদি খারাপ কোলেস্টোরল সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত এবং হিসেব ছাড়া খেতে থাকেন তাহলে তাদেরও উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা দেখা দেবে।৮)কোলেস্টোরল শুধুমাত্র খাবারের কারণেই বাড়ে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কোলেস্টোরল আপনাআপনি দেহে উৎপন্ন হয় যা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং জীবনযাপনের ছোটোখাটো ব্যাপারগুলোর কারণে বোঝা যায় না। যখনই আপনি শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দেবেন দেহের কোলেস্টোরল বাড়তে।