হাঁপানি এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

কস্টকর রোগ গুলির মধ্যে হাঁপানি সবচেয়ে পুরাতন এবং সুপরিচিত। এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ। অ্যালোপ্যাথরা এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নানা পেটেন্ট মেডিসিন ব্যবহার করে থাকেন যা সারা জীবন নিয়ে যেতে হয়, কিন্তু পুরোপুরি রোগ নির্মূল করতে পারেন না। এবার আসুন দেখি হাঁপানি কি এবং হোমিওপ্যাথরা কি বলেন ?

হাঁপানি হলো কিছুদিন পরপর বারে বারে আসা শ্বাসকষ্টের নাম যাতে শ্বাসনালী চিকন হওয়ার কারণে শ্বাস নেওয়ার অথবা ছাড়ার সময় হিস হিস শব্দ হয়। হাঁপানির সাথে কখনও কখনও কাশি থাকে এবং আঠালো কফ উঠে। হাঁপানির আক্রমণ যখন তীব্র হয়, তখন লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে জীবন বাঁচাতে হবে। তারপর যখন হাঁপানির আক্রমণ চলে যায়, তখন হাঁপানির কারণ অনুযায়ী মূল ঔষধ খেয়ে তাকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে হবে।

হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে নিরাময় করা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অসম্ভব হলেও একজন সুদক্ষ হোমিও চিকিৎসকের পক্ষে অসম্ভব নয়। হাঁপানির নাম (bronchial asthma, 1271allergic asthma, Infantile 2857asthma, exercise- induced asthma, Bronchitis) যা-ই হোক না কেন, ঔষধ খেতে হবে লক্ষণ অনুসারে।

হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে সারানোর ক্ষমতা পৃথিবীতে একমাত্র হোমিও ঔষধেরই আছে। হ্যাঁ, ঔষধ বা অন্য যে-সব জিনিস বা খাবারের কারণে হাঁপানি বেড়ে যায়, সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে। যেমন – বেশী পরিশ্রম, আবেগপ্রবন / উত্তেজিত হওয়া, নির্দিষ্ট কোন একটি ঔষধ (যেমন- বাতের ঔষধ), বিড়াল-কুকুরের পশম, ফুলের রেণু, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, কচুঁ শাক, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, ডাল ইত্যাদি ইত্যাদি।তাই হাঁপানিকে বিদায় জানাতে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন আর আনন্দময় সুস্থ জীবন উপভোগ করুন

Leave a Reply