এমপক্স কী? এটা কীভাবে ছড়ায়? এ রোগের লক্ষণগুলো কী?

আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থেকে আফ্রিকার কিছু অংশে এমপক্সের প্রাদুর্ভাবকে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও।
আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমপক্স কী এবং এর লক্ষণগুলো কী?


গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় ভাইরাস হলেও এমপক্স সাধারণত অনেক কম ক্ষতিকারক।
প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়।
এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা।
আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।
অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। এর ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে।
সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।
তবে ছোট শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য কিছু ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত মারাত্মক।
এর আক্রমণের কারণে গুরুতর ক্ষেত্রে মুখ, চোখ এবং যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে ক্ষত তৈরি হতে পারে।
কোন কোন দেশে এমপক্স ছড়িয়ে পড়েছে?
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের মতো পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট সমৃদ্ধ দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এমপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এই অঞ্চলগুলোতে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হয় আর শত শত মানুষের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা।
বর্তমানে অনেকগুলো দেশে বিভিন্ন প্রাদুর্ভাব একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে- বিশেষ করে কঙ্গো এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে।
রোগটি সম্প্রতি বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা এবং কেনিয়াতে দেখা গেছে যা সাধারণত সেখানে দেখা যায় না।
মোটাদাগে এমপক্সের দুটি ধরন রয়েছে – ক্লেড ১, যা সাধারণত আরও গুরুতর হয় এবং ক্লেড ২।
ক্লেড ১ ভাইরাস – কয়েক দশক ধরে কঙ্গোতে বিক্ষিপ্ত প্রাদুর্ভাবের কারণ ছিল এবং এখন ছড়িয়ে পড়া ধরনটিও এটি।
ক্লেড ১’র কিছু ধরনে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হবার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
গত বছরে সংক্রামিত অনেকের তুলনামূলকভাবে নতুন ও আরও গুরুতর ধরনের এমপক্স ক্লেড ১বি হওয়ায় এনিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লেড ১বি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা বাকি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি সম্ভবত আগের ধরনের চেয়ে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে, একইসঙ্গে আরও গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।
আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে ২০২৪ সালের শুরু থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে আর এতে ৪৫০’রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এই সংখ্যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ বেশি।
এর আগে ২০২২ সালে এমপক্সের মৃদু ধরন ক্লেড ২’র কারণে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।
এশিয়া এবং আফ্রিকার মতো যে দেশগুলোতে সাধারণত এই ভাইরাস দেখা যায় না এমন প্রায় ১০০টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলিকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এমপক্স কীভাবে ছড়ায়?
এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এসে কথা বলা বা শ্বাস নেয়ার মতো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে এটি একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাসটি ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
ভাইরাসে দূষিত হয়েছে এমন জিনিস যেমন বিছানা, পোশাক এবং তোয়ালে স্পর্শের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে।
বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনো প্রাণী যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি ওই সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে বেশি কাছাকাছি আসে তবে তিনি এতে আক্রান্ত হতে পারেন।
২০২২ সালের বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।
কঙ্গোর বর্তমান প্রাদুর্ভাবের বড় একটি কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
ছোট শিশুসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এমপক্স পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা?
রোগের উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরিবারের সদস্যসহ তার ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সে সম্পর্কে আরও বুঝতে বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করছেন।
এদের মধ্যে অল্পবয়সী শিশুরা থাকতে পারে। কারণ একদিকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, অন্যদিকে অঞ্চলটির অনেকরই পুষ্টির অভাব রয়েছে। ফলে রোগের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করা বেশি কঠিন হয়ে যায়।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ছোট শিশুরা যেভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে খেলাধুলা করে এবং একে অপরের সঙ্গে মেশে তার কারণে ঝুঁকিতে থাকতে পারে।
এমনকি চার দশকেরও বেশি সময় আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া গুটিবসন্তের টিকাও তারা পাচ্ছে না। ফলে আগের টিকা পাবার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরা হয়তো কিছুটা সুরক্ষিত।
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার যে কারোই, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হবার আরও বেশি ঝুঁকি রয়েছে।
এর থেকে বাঁচতে এমপক্সে আক্রান্ত কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে হবে এবং ভাইরাসটি যদি আপনার আশেপাশের কারও থাকে, তবে সাবান ও পানি দিয়ে আপনার হাত পরিষ্কার করতে হবে।
সব ক্ষত সেরে না যাওয়া পর্যন্ত এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা উচিৎ।
ডব্লিএইচও বলছে, সুস্থ হওয়ার পর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত যৌন সম্পর্কের সময় সতর্কতা হিসেবে কনডম ব্যবহার করা উচিৎ।
এমপএক্সের কোনো টিকা আছে?
এমপএক্সের টিকা আছে, তবে যারা ঝুঁকিতে আছে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকছে কেবল তারাই এটি পেতে পারে।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, যাদের প্রয়োজন তাদের সবার কাছে টিকা পৌঁছাবার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নেই।
এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত না হলেও জরুরি ব্যবহারের জন্য এমপক্সের টিকাগুলো দেয়ার জন্য সম্প্রতি ওষুধ প্রস্তুতকারকদের নির্দেশ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।
আর এখন যেহেতু আফ্রিকার সিডিসি মহাদেশব্যাপী ‘জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা’ ঘোষণা করেছে, আশা করা যায় এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারগুলো আরও ভালভাবে সমন্বয় করতে সক্ষম হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চিকিৎসা সরবরাহ এবং সহায়তার প্রবাহকে সম্ভাব্য পরিমাণে বাড়াবে।
বৈশ্বিক কোনো পদক্ষেপ ছাড়া বর্তমান প্রাদুর্ভাব মহাদেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ রয়েছে।

এই মাহে রমজানে সুস্থ-সবল দেহ নিয়ে রোজা পালনের জন্য রইলো কিছু স্বাস্থ্য টিপস!

মাহে রমজান সঠিকভাবে পালন করার জন্য প্রয়োজন সুস্থ শরীর। আর তাই, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবারের রুটিন। এছাড়াও রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে প্রয়োজন রুটিন মেনে চলার একনিষ্ঠতা। আপনাদের রমজানের রোজা সুস্থ-সবল দেহ নিয়ে পালনের জন্য রইলো কিছু টিপস! দেখে নিন তবে রমজানে সুস্থতায় কী কী করণীয়!

১. রমজানে সুস্থতা পালনে শরীর চর্চার সঠিক সময় হচ্ছে ইফতারের ঠিক পূর্বে। তাই, ইফতারের ঘণ্টা দু-এক আগে নিজের শরীর চাঙ্গা রাখতে করুন হালকা ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম।

২. কম শারীরিক পরিশ্রম লাগে, কিন্তু উপকারী- এমন অ্যাকটিভিটিস বেছে নিন। যেমন, আধা ঘণ্টা করে নিয়মিত সময়ে হাঁটাহাঁটি করা। রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে এটা হতে পারে বেস্ট অ্যাকটিভিটিস!

৩. রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে ভারী ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। এতে করে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং পরবর্তী কিছু দিনের রুটিন ব্যায়ামে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রুটিন বজায় রাখার জন্য যতটুকু ব্যায়াম করা যায়, তা করে যান।

৪. যদি ব্যায়ামরত অবস্থায় মাথা ব্যথা করে, অথবা দুর্বল অনুভব করতে থাকেন, তবে সাথে সাথে ব্যায়াম থেকে সেদিনের জন্য বিরতি নিন।

৫. আপনি শারীরিকভাবে পারফেক্ট থাকলেও মনে রাখবেন, রমজানের রোজা আপনার দেহকে কিছুটা দুর্বল করে দিতে পারে। আর তাই, রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাবারের মেন্যু তৈরি করবেন।

৬. রমজানে সুস্থতা রক্ষার্থে সেহরি করবেন নিয়মিত। সেহরিতে আমিষ জাতীয় খাবারের চেয়ে শর্করা জাতীয় খাবার বেশি থাকলে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবেন। অতিরিক্ত পেট ভরে খাবেন না। যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করবেন। সম্ভব হলে ২/১টা ফল রাখবেন সেহরির মেন্যুতে।

৭. রামাদানের দাবদাহের দিনগুলোতে দুপুরে যতটা সম্ভব বাইরে না থাকার চেষ্টা করবেন। বৃষ্টি হলে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বের হবেন। ভিজে সর্দি-কাশি হলে তা রোজা রাখার অন্তরায় হতে পারে।

৮. রমজানে সুস্থতা বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস যেটি তা হলো- ‘ইফতারে গোগ্রাসে খাবার খাবেন না’। হালকা খাবার দিয়ে শুরু করুন, পানি জাতীয় খাবার বেশি করে খান। ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে ইফতার করবেন না। অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন। ভাজা-পোড়া খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৯. চা-কফি পান না করাই মঙ্গল। এতে করে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। চা-কফির স্থলে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা পানীয় পান করুন।

১০. গরমের মাহে রমজানের সময় বাজারে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বাহারি ফলের সমাহার। স্বাস্থ্যসম্পন্ন ফল দিয়ে সাজাতে পারেন ডেজার্টের মেন্যু।

১১. পানির কোন বিকল্প নেই। ঘুমানোর আগে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করবেন, যেন পানিস্বল্পতা দেখা না দেয়।

১২. ইফতারের পর ১৫-২০ মিনিটের জন্য বাইরে হেঁটে আসতে পারেন।

পবিত্র রমজান মাসে সুস্থতা বজায় না রাখলে রোজা অনেকেই রোজা রাখতে পারেন না। তাই, সুস্থ থাকতে এই টিপসগুলো মেনে চলুন এবং থাকুন ফিট রমজানেও!

ব্রণের হোমিও চিকিৎসা একটি কার্যকরী ও যুগোপযোগী সমাধানঃ

ব্রণ কি ?

ব্রণের হোমিও চিকিৎসা একটি কার্যকরী ও যুগোপযোগী চিকিৎসা । উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের জন্য ব্রণ দারুণ এক মন কষ্টের কারণ। সুন্দর মুখশ্রী নষ্ট হয়ে অসুন্দর, ক্ষত ও অবাঞ্ছিত দাগই তাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষকরে সুন্দরী ললনাদের জন্য বয়ে আনে এক দুঃসহ যাতনা। ব্রণ বা একনি হচ্ছে সিবেসাস গ্লান্ডের গোলযোগ সংক্রান্ত ত্বকের একটি খুব প্রচলিত রোগ। সিবেসাস গ্লান্ডগুলো মাথা ও মুখসহ মানব দেহের সর্বত্র ত্বকের নিচে হেয়ার ফলিকল বা কেশ গর্ভের গায়ে অবস্থান করে। এরা সিরাম নামে এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ ক্ষরণ করে, যা লোমকূপ দিয়ে দেহের বাইরে এসে মুখ ও গাত্র ত্বককে মসৃণ ও তৈলাক্ত করে এবং চুলকে ও তৈলাক্ত রাখে। এর ফলে

ব্রণের হোমিও চিকিৎসা

ত্বকের কোষগুলো নরম থাকে এবং অকালে শুকিয়ে বা কুচকে যায় না। ত্বকের

যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র বা লোমকূপ দিয়ে যে সিরাম বের হয় সেগুলো কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে সিরাম বাইরে আসতে পারে না। তা জমতে থাকে এবং এক সময় চামড়া ঠেলে ওপরে ওঠে। ফলে পিমপেল বা ফুসকুড়ির মতো দেখায় অনেক সময় ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে পুঁজ ও জমে এগুলোকেই ব্রণ বলে।

ব্রণের হোমিও চিকিৎসা করতে হলে জানতে হবে কখন ব্রণ হয় ?
সাধারণত ১২-১৪ বছর বয়স হতে ২৮-৩০ বছর বয়স পর্যন্ত মুখে ব্রণ দেখা দেয়। ২০-২২ বছর বয়সেই সবচেয়ে বেশি থাকে;

(১) জন্মগত বা পূর্বপুরুষের ধারা অনুসারে ব্রণ হতে পারে।

(২) হরমোন অ্যান্ড্রোজেন, এস্ট্রোজেন সিরাম ও ত্বকে বসবাস কারী জীবাণুদের ইন্ট্রারঅ্যাকশন বা ভারসাম্যের গোলযোগ হেতু। বিশেষ করে বয়সন্ধিকালে সেক্স/ঝবী হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধির ফলে সিবেসাম গ্লান্ড আকারে বেড়ে যায় এবং কর্মতৎপরতাও বৃদ্ধি পেয়ে বেশি করে সিরাম বা তেল উৎপন্ন হয়ে ব্রণ ডেকে আনতে সাহায্য করে।

(৩) অধিক মসলাযুক্ত বা গরম মসলা বেশি খেলে এই রোগ হতে পারে এবং এলার্জিটিক খাবারে বেড়ে যেতে পারে।

(৪) যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সর্বদা অবস্থান করে।

(৫) অনিয়মিতভাবে দুই-চার দিন পরপর পায়খানা হয় তাদের ব্রণ দেখা দেয়।

(৬) অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় সেবাই ব্রণের অন্যতম কারণ হতে পারে এবং রাত জাগরণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নোংরা জীবন যাপন, আলো- বাতাসহীন ঘরে থাকা।

(৭) লিভারের ক্রিয়ার গোলযোগ, পেটের পীড়ায় ভোগা।

(৮) উত্তেজক বস্তুর ব্যবহার, অতিরিক্ত কসমেটিকস ব্যবহারের কুফল এবং অত্যন্ত গরম ঠাণ্ডা থেকে।

(৯) বিসদৃশ ওষুধ সেবনের ফলে এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খাওয়ার ফলে ব্রণ হতে পারে।

(১০) অতিরিক্ত আবেগের ফলে। (১১) মহিলাদের মাসিক ঋতুস্র্রাব দেখা দেয়ার আগে/পরে/সময়ে এবং গোলযোগের ফলে।

ব্রনের প্রকারভেদ ঃ
মুখের ব্রণ এক প্রকার চর্মরোগ। এই পীড়া সাধারণত চার প্রকার-

১। একনি ভালগারিস (Acne Vulgaris) অথবা সামান্য বয়ঃব্রণ

এইগুলি দুই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে এদের মধ্য হতে ভাতের মত মেদ বের হয়। এইগুলির আকারও ক্ষুদ্র হয়।

২। একনি ইন্ডুরেটা (Acne Indurata) অর্থাৎ কঠিন বয়ঃব্রণ

এইগুলি সাধারণ বয়ঃব্রণ অপেক্ষা কঠিন এবং অতি ধীরে ধীরে বর্ধিত হয়। এগুলিতেও পুঁজ সঞ্চার হয় এবং সময়ে সময়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্ফোটকের আকার ধারণ করে। এইগুলি হতে পুঁজ বের হয়ে গেলে দাগটি থেকে যায়।

৩। একনি রেজিওলা (Acne Regiola) বা আরক্ত বয়ঃব্রণ

এই ব্রণগুলি উজ্জ্বল লালবর্ণ হয় এবং আশপাশের শিরাগুলি স্ফীত হয়। এই রোগ সহজে আরোগ্য হতে চায় না।

৪। একনি টিউবারকুলেটা (Acne Tuberculata)

অপেক্ষাকৃত পরিণত বয়সে ২৫ হতে ৫০ বৎসর মধ্যে আর এক প্রকার বয়ঃব্রণ জন্মে। এদেরকে একনি টিউবারকুলেটা বলে। এগুলো আকারে গুটিকার ন্যায় বড় হয় বলে এদের এরুপ নাম দেয়া হয়েছে। একনি টিউবারকুলেটা সাধারণত পুরুষদেরই হয়ে থাকে। তবে জরায়ু ও ডিম্বকোষের ক্রিয়ার বৈলক্ষণে স্ত্রীলোকদেরও হতে পারে।

ব্রণের হোমিও চিকিৎসা এবং সর্বাধিক কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিম্নে আলোচনা করা হল –
বার্বেরিস একুইফোলিয়াম Q

বয়ঃব্রণ রোগ দীর্ঘদিনের হলে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিকভাবে “বার্বেরিস একুইফোলিয়াম” ঔষধটি বিশেষ উপযোগী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

Dr. Dewey বলেন, “যেখানে চামড়া কর্কশ হয়ে যায় এবং বয়ঃব্রণ কিছুতেই আরোগ্য হতে চায় না, সেখানে বার্বেরিস একুইফোলিয়াম উপযোগী। ডাঃ বোরিকও ঔষধটির বিশেষ প্রশংসা করেছেন। ঔষধটির মূল অরিস্ট ১ থেকে ২ বিন্দু মাত্রায় দিনে ২ বার খেতে হবে । বাহ্যিকভাবে তুলায় করে লাগাতে হবে।

ডাঃ ডাব্লিউ. এ. ডিউই নিম্নলিখিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন-

সালফার ২০০ – পুরাতন রোগীদের জন্য উপযোগী।

স্যাঙ্গুইনেরিয়া ৩০ – যে সকল নারীদের অল্প ঋতুস্রাব হয় এবং যাদের রক্ত সঞ্চালন ক্ষীণ তাদের জন্য প্রয়োজন।

ক্যালকেরিয়া কার্ব ২০০ – শীতকাতর ও ঘর্মপ্রধান রমনীদের যৌন সম্ভোগপ্রবৃত্তি দমন করে রাখার কারণে বয়ঃব্রণ হলে ভাল কাজ করে।

অরাম মিউর নেট্রোনেটাম ৩X – বাত-ব্যথা ও জরায়ুপীড়াগ্রস্থ স্ত্রীদের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে।

কেলি ব্রোম ৩০ – এই ঔষধটি মুখমন্ডল, গ্রীবাদেশ ও স্কন্ধে বয়ঃব্রণ সৃষ্টি করে থাকে। সাধারণ মুখের ব্রণ ও চর্মস্ফীতিযুক্ত বয়ঃব্রণের পক্ষে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। কেলি ব্রোমেটাম অতিরিক্ত কামচর্চা ও হস্তমৈথুনকারী ব্যক্তদের বয়ঃব্রণ চিকিৎসায় কার্যকরি একটি শ্রেষ্ঠ ঔষধ।

ডাঃ এ. এম. কাশিং বলেছেন- আর্সেনিক ব্রোমেটাম ৪X অপর একটি অত্যুৎকৃষ্ট ঔষধ।

থুজা অক্সিডেন্টালিস ২০০ – মুখের ব্রণ -এর একটি ভাল ঔষধ।

ক্যালকেরিয়া পিক্রটা ৩X – যুবকদের বয়ঃব্রণ চিকিৎসায় কার্যকরী। মুখে পুঁজযুক্ত বা রক্তের ছিটযুক্ত ফুস্কুড়ি জন্মাতে থাকলে ক্যালকেরিয়া সালফ ১২X ভাল কাজ করে।

এন্টিম ক্রুড ৩০ – বয়ঃব্রণগুলি লাল বর্ণ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র। ঐগুলো মুখমন্ডলের উপরেই বিশেষভাবে প্রকাশ পায়। মাতালদের ও পাকাশয়িক গোলযোগযুক্ত ব্যক্তি যাদের জিহ্বায় ঠিক দুধের মত সাদা লেপ থাকে । তাদের মুখের ব্রণ চিকিৎসায় অধিক কার্যকারিতার সাথে ব্যবহার হয়।

নেট্রাম মিউর ২০০– শুষ্ক চেহারা, কাঁচা লবণ খেতে ভালবাসে এবং স্নানে উপশম পায় এরুপ ব্যক্তির পক্ষে উপকারী।

ব্রণের হোমিও চিকিৎসা করতে হলে রোগীর প্রকৃতি, তার উপশম, উপচয়, সাধারণ লক্ষণগুলির দিকে স্থানীয় লক্ষণ অপেক্ষা অধিক দৃষ্টি দিতে হবে।

ব্রণের হোমিও চিকিৎসায় রোগীর ব্রণ আক্রান্তের গুরুত্ব বিবেচনা করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হয়। তাই সবচেয়ে ভালো হয় নিশ্চিত আরোগ্যকারী হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করা। ব্রণ সমস্যায় ভুগলে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুনঃ
০১৭৩৮-৫০৮৮০০

এই প্রচন্ড গরম এলার্জি জনিত আর্টিকারিয়া বা আমবাতে কারন, লক্ষন ও হোমিওপ্যাথিক সমাধান


আর্টিকারিয়া বা আমবাত একটি এলার্জিজনিত রোগ। মানব দেহে এলার্জিজনিত রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন একটি রোগ এটি। বোলতা বা ভিমরুল কামড়ালে গায়ে যেমন চাকা চাকা হয়ে ফুলে উঠে,এটা দেখতে ঠিক তেমনই, সাথে তীব্র চুলকানি, জ্বালা ও চিমটিকাটার মত একধরণের অনুভূতি প্রকাশ পায়।

কারণ : এলার্জিই রেগের প্রধান কারণ।গরুর গোশত কাঁকড়া, পুইশাক,মিষ্টি কুমড়া হাঁসের ডিম ও গোশত,ইলিশ, চিংড়ি, পুটি মাছ বেগুন মসুরের ডাল প্রভৃতি আহারের পরে অনেকের শরীরে আমবাত প্রকাশ পায়।অতি বর্ষা ও অতি গ্রীষ্ম এবং ডাস্টের কারণে এলার্জি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে কারো কারো শরীরে আমবাত প্রকাশ পায়। এ্যালোপ্যাথি ওষুধ যেমন পেনিসিলিন, টেট্রাসাইক্লিন, সালফোনামাইড প্রভৃতি ওষুধ সেবনের কারণে আমবাত হতে পারে। শরীরে যে কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে সুপ্ত ইনফেকশনের কারণে আমবাত প্রকাশ পেতে পারে।

লক্ষণ : আমবাত হঠাৎ করেই শরীরে চাকা চাকা হয়ে ফুলে উঠে, জ্বালা ও চুলকানীযুক্ত বা চুলকানীবিহীন, ইহা লাল, হালকা লাল বা গোলাপী ও শরীরের বর্ণ ধারণ করতে পারে। শরীরের অল্প পরিসর জায়গাজুড়ে বা সমগ্র শরীরজুড়েও হতে পারে।

সাধারণত বিকাল বা সন্ধ্যার দিকেই আমবাতের উপসর্গ প্রকাশ পায়।এছাড়াও অতি গ্রীষ্ম ও অতি বর্ষায় এর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। অনেক সময় জামা কাপড় খোলা মাত্রই গা চুলকায় এবং আমবাত প্রকাশ পায়। কারো কারো শরীর ভিষণ চুলকায় এবং একটু চুলকাইলেই ফুলে উঠে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের বেলায় জ্বর আসে না কিন্তু শিশুদের বেলায় তীব্র আক্রমণের সময় জ্বর আসতে পারে। সাথে মাথা ব্যথা,বমিবমিভাব, পেটব্যথা ও প্রচণ্ড চুলকানি ও জ্বালা থাকতে পারে।

চিকিৎসা : কারো কারো ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই আমবাত প্রকাশের কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টার মধ্যেএ উপসর্গ মিলে যায়। তখন আর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে যাদের শরীরে আমবাত ঘনঘন প্রকাশ পায় এবং তীব্র আকার ধারণ করে তখন চিকিৎসা নিতে হবে।

হোমিওতে এ রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য হয় এবং পুনরায় এটি আর প্রকাশ পায় না। শরীরের মধ্যে সুপ্ত ও গুপ্ত ইনফেকশনের মত কোন কারণে যদি আমবাত প্রকাশ পায়, তা হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে উক্ত আমবাতসহ গুপ্ত ও সুপ্ত ইনফেকশনও ভালো হয়ে যায়। এটিই হোমিও চিকিৎসার বিশেষ কৃতিত্ব।

প্রাথমিকভাবে রাসটক্স, এপিসমেল, আর্টিকা ইউরেন্স, আর্সেনিকাম এল্বাম, ডালকামারা, পালসেটিলা, নেট্রামমিউর,নেট্রাম সালফ্ স্কিন কেয়ার ট্যাবলেট/ ড্রপ প্রভৃতি ওষুধ লক্ষণানুসারে যেকোন ১টি বা ২টি ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারেন। কিন্তু রোগের তীব্রতা,হ্রাস-বৃদ্ধি, রোগের কারণ ও উৎস অনুসন্ধান, রোগীর আহার নিদ্রা, রুচি অরুচি, ঠাণ্ডা গরমে ও নড়াচড়ায় রোগের হ্রাস বা বৃদ্ধি, ধাতুগত ও মানসিক লক্ষণ ইত্যাদি উপসর্গ অনুসারে উক্ত ওষুধের ডোজ, মাত্রা,শক্তি, একজন চিকিৎসকই নির্ধারণ করতে পারেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা দরকার।

নিষেধ ও পরামর্শ : হোমিও চিকিৎসায় তেমন কোনও বাঁধা নিষেধ নেই। তবে যে খাবার খেলে আপনার এলার্জি বেড়ে আমবাত প্রকাশ পায় সে খাবার সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন, জামা কাপড় ২ দিনের বেশি পড়া উচিৎ নয় এবং ডাস্ট থেকে দূরে থাকুন। মানসিক চাপ ও টেনশনমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। আলমারিতে বা ওয়ারড্রবে রাখা অনেক দিনের জামা কাপড় ওয়াশ করে পড়া উচিৎ। নেশাগ্রস্তরা নেশা পরিহার করুণ।

অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুণ, সুস্থ্য থাকুন।

বিশেষ পরামর্শের জন্য

ডা. মো. ইমতিয়াজ আদনান
মোবাইল : ০১৭৩৮- ৫০৮৮০০

বর্ষায় যে ১০ অসুখ থেকে সাবধান থাকা উচিত


প্রতিদিন প্রায় এক ঘণ্টা আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে। ভ্যাপসা গরম থেকে বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও জমা পানি, ঠান্ডা লাগা, জ্বরের মতো সমস্যাও বাড়ছে। বৃষ্টি যতই উপভোগ করুন, বর্ষায় রোগের হাত থেকে সাবধান থাকতেই হয়। জেনে নিন যে রোগগুলো বর্ষায় সবচেয়ে বেশি হয়।
১. ম্যালেরিয়া: বর্ষায় সবচেয়ে বেশি যে রোগ দেখা যায় তা হল ম্যালেরিয়া। বর্ষার জমা পানি থেকে মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়া বাচ্চা থেকে বড় সকলেরই হতে পারে। এই ম্যালেরিয়ায় যদি ম্যালিগন্যান্ট হয়ে যায় তা থেকে মৃত্যুও হতে পারে।
২. ডেঙ্গু: ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। বর্ষায় আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রভাবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত জ্বর, গায়ে ব্যথা, দুর্বলতা, র‌্যাশ বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
৩. ডায়রিয়া: বর্ষায় বাইরের খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল। বাইরের খোলা খাবার, অপরিশোধিত পানি থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। শিশুদের ডায়রিয়া থেকে ডিহাইড্রেশন হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৪. চিকুনগুনিয়া: সংক্রমিত অ্যাডিস অ্যালবোপিকটাস মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া হয়। বর্ষার জমা পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে ও দিনের আলোয় কামড়ায়।
৫. টাইফয়েড: সালমোনেলা টাইফোসা ভাইরাসের প্রকোপ বর্ষা কালে খুব বেড়ে যায়। অপরিশোধিত পানি, অপরিচ্ছন্ন পানি থেকে টাইফয়েডের সংক্রমণ ছড়ায়। দীর্ঘ সময় তাপমাত্রা না নামলে টাইফয়েড থেকে হয়ে যেতে পারে বড়সড় ক্ষতি।
৬. ভাইরাল ফিভার: যে কোনও মরসুমেই ভাইরাল ফিভার হতে পারে। তবে বর্ষায় ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি হয়। জ্বর, গায়ে ব্যথা, দুর্বলতার সঙ্গে এই জ্বর ৩-৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
৭. কলেরা: পরিচ্ছন্নতার অভাব ও দুর্বল হাইজিনের কারণে খাবার, পানি সংক্রমিত হলে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ে কলেরা। কলেরা ভয়াবহ আকার ধারণে করলে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।
৮. লেপ্টোসিরোসিস: এই রোগ ওয়েইল’স সিন্ড্রোমা নামে পরিচিত। সংক্রমিত পশুদের প্রস্রাবের মাধ্যেম পানি, মাটি থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। মাথা যন্ত্রণা, জ্বর, প্রদাহ এই রোগের লক্ষণ।
৯. জন্ডিস: বর্ষায় অপরিশোধিত পানি থেকে হেপাটাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। হেপাটাইটিসের সংক্রমণে রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রে বেড়ে গিয়ে জন্ডিস দেখা দেয়। এই সময় বাইরের পানি ভুলেও খাবেন না।
১০. ইনফেকশন: বর্ষায় রাস্তার খোলা খাবার থেকে গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিস বা পেটের ইনফেকশনের সমস্যা আকছারই হয়ে থাকে।

যৌন ক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন

ক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন

স্বাস্থ্যকর এবং সুখী যৌ’ন জীবন প্রত্যেকেই চায়। তারপরও কারও কারও দাম্পত্য জীবনে যৌ’ন স’মস্যা রয়ে য়ায়। অনেকের ক্ষেত্রেই এর পরিণতি ঘটে বিচ্ছে’দে। যৌ’ন অক্ষ’মতা যেমন- কম বী’র্যপাত, অকাল বী’র্যপাত এবং দম্পতিদের মধ্যে সে’ক্স ড্রাইভের অভাব ইত্যাদি স’মস্যাগুলো বর্তমানে খুব গভীর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই স’মস্যাকে কা’টিয়ে উঠতে অনেকেই নানান রকম ওষুধ সেবন করে থাকেন।

তবে এসব ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা সম্ভব না। শারীরিক যৌ’ন অ’ক্ষমতাকে দূর করতে বরং এমন কিছু প্রাকৃতিক খাবার খান যা আপনার যৌ’ন ক্ষমতা বা ইচ্ছাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এসব খাবার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি পূরণের পাশাপাশি যৌন অক্ষমতাকে সক্ষম করে তুলতে খুবই উপকারী। চলুন এবার জেনে নিন সেসব খাবারের তালিকা…

দুধঃ যৌ’ন ক্ষমতাকে ধরে রাখতে দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে থাকা প্রাণিজ-ফ্যাট যৌ’ন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। শরীরে সে’ক্স হরমোনের পরিমাণ বাড়াতে চাইলে বেশি পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যেমন-খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। তবে এই ফ্যাট জাতীয় খাবারগুলো যেন হয় প্রাকৃতিক ও স্যাচুরেটেড যুক্ত ফ্যাট। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের যৌ’ন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

এলাচঃ এলাচকে বলা হয় রোমান্টিক মশলা। কারণ এতে অ্যাফ্রোডিসিয়াক বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি যৌ’ন ইচ্ছা বাড়াতে সাহায্য করে। এলাচের তেলের ম্যাসাজ রোমান্টিকতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও চা এবং কফি হিসেবে এলাচ খাওয়া পু’রুষত্বহীনতা দূর করতে উপকারী।

ব্রকোলিঃ অনেকেই খেতে পছন্দ না করলেও সবজির মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী সবজি হলো ব্রকোলি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে, যা জ’ননা’ঙ্গে র’ক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে। কারণ ভিটামিন সি শরীরে বয়ে চলা র’ক্তস্রোতের ধারাকে বজায় রাখে। যৌ’ন মুহূর্তে অঙ্গে র’ক্তস্রোতের অবাধ প্রবাহকে বহাল রাখতে ব্রকোলি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

কলাঃ কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম, যা মানবদেহের যৌ’নক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ব্রোমেলাইন নামক এনজাইম মেল সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং পুরুষদের মধ্যে কা’মশক্তি বাড়ায়। পটাশিয়াম ও ভিটামিন শরীরে র’ক্ত সঞ্চালনার মাত্রাকে বৃদ্ধি করে এবং দেহের শক্তির স্তরকে বাড়িয়ে তোলে।

ডিমঃ যৌ’ন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার হলো ডিম। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা হরমোনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে এবং মানসিক চা’প কমাতে সাহায্য করে। রোজ সকালে একটা করে ডিম খেলে শরীরিক শক্তি ও যৌ’ন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

মধুঃ মধু হলো হাজারো ফুল ও দানার নির্যাস, যা যৌ’ন ইচ্ছাকে বৃদ্ধি করতে এবং যৌ’বনকে ধরে রাখতে খুবই উপকারী ও শ্রেষ্ঠ উপাদান। তাই সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সকালে ১ চামচ করে মধু খান।

রসুনঃ বহুকাল থেকেই যৌ’ন স’মস্যা মেটাতে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। সুতরাং আপনারও যদি যৌ’ন স’মস্যা থেকে থাকে তবে রোজ ১ কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করুন। রসুন নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌ’ন উদ্দীপনাকে বাড়াতে এবং জননা’ঙ্গকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও রসুনে থাকা অ্যালিসিন যা যৌ’ন অ’ঙ্গগুলোতে র’ক্ত প্রবাহের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে।

ঝিনুকঃ যৌ’ন ক্ষমতাকে ধরে রাখতে এবং যৌ’নজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খুবই উপকারী খাদ্য। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক যা শু’ক্রাণুর সংখ্যাকে বৃদ্ধি করে এবং যৌ’ন-ইচ্ছাকে বাড়িয়ে তোলে। একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, রোমানরা প্রতিদিন সকালে ৫০টি করে কাঁচা ঝিনুক খায়।
ডার্ক চকোলেটঃ ডার্ক চকোলেট একটি সুপরিচিত অ্যাফ্রোডিসিয়াক যা যৌ’ন উ’দ্দীপনাকে বাড়িয়ে তোলে। এতে থাকা ফেনিলেথ্যালামাইন উপাদান এই উ’দ্দীপনাকে বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা যৌ’ন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। তাই রোজ ১ থেকে ২ টুকরো ডার্ক চকোলেট খাওয়া অভ্যাস করুন।
বিট ও গাজরঃ প্রাকৃতিক উপায়ে জননা’ঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে প্রতিদিন বিট ও গাজর খান। বিটে থাকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট যা পুরুষা’ঙ্গের র’ক্তনালীগুলো প্রসারিত করে। আর গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকার ফলে এটি শু’ক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারঃ সে’ক্স হরমোনগুলো ঠিকমতো কাজ করার জন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বাদাম বা বীজ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা শরীরে কোলেস্টেরল তৈরিতে সাহায্য করে। বীজ জাতীয় খাবার যেমন- কুমড়োর দানায় থাকে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক যা সেবনে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড সুস্থ থাকে। পাশাপাশি শু’ক্রাণু তৈরি করে এবং টেসটোস্টেরন হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই যৌ’ন জীবন সুস্থ রাখতে রোজ কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত সঙ্গমের অভাবে যৌনাঙ্গে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে নারীর

যৌনাঙ্গে ক্ষতি

প্রাথমিকভাবে, বেশি সঙ্গম না করা আপনার কাছে ভালো লাগতে পারে। কিন্তু নিয়মিত সঙ্গীর সঙ্গে ভালবাসার আদান প্রদান এবং শারীরিক সম্পর্কই ভয়ঙ্কর ভেজাইনার (স্ত্রী যোনি) রোগ থেকে রেহাই দিতে পারে নারীকে। জানলে অবাক হবেন, এই সংক্রমণগুলো ছোঁয়াচে কিংবা যৌন সম্পর্কের কারণে হচ্ছে না। কেবলমাত্র সঙ্গমের প্রতি আগ্রহ কম থাকার জন্যই আক্রান্ত হচ্ছে ভেজাইনা।

যেমন ধরুন, চুলকানী, সাদাস্রাব, জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, এবং সঙ্গমের সময় ব্যথা অনুভব করাসহ নানা রকম যৌন রোগের লক্ষণ। এমকি ভেজাইনাল এট্রপিতে (যোনি রোগ) আক্রান্ত হয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। যার ফলে যৌনাঙ্গের ত্বক শক্ত হয়ে যায়, শুকিয়ে যায়, ভেজাইনাল টিস্যুতে দেখা পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব।

তবে এটি যে কোনো বয়সের নারীদেরই হতে পারে। বিশেষ করে যারা মেনোপজ সময়ে নিজেদের পার করছেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি হতে পারে। কেননা মনোপজের সময় শরীরে স্ত্রী হরমোন উৎপাদন হওয়ার বেশ ঘাটতি দেখা দেয়। এদিকে যারা স্তন ক্যান্সারের হরমন চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদেরও ভেজাইনাল এট্রপিতে ভুগতে দেখা যায়।

এ সম্পর্কে ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ডঃ লুইজ মাজান্টি নামের একজন সেক্স থেরাপি বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অবশ্যই সুস্থ শারীরিক সম্পর্কের প্রয়োজন। কেবল মাত্র অনুভূতির জন্য সঙ্গমের দরকার, ব্যাপারটি আসলে তা নয়। শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গের টিস্যুকে সতেজ রাখা, রক্তের স্বাভাবিক চলাচল বজায় রাখা, আঁটসাঁট করে থাকা মাংসপেশিকে শিথিল রাখার জন্য নিয়মিত রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়া প্রয়োজন।’

সিজারে বাচ্চা নেওয়ার অপর নাম নীরব মৃত্যু (মিস করবেন না স্বামী স্ত্রী দুজনেই পড়ুন)

 

সিজারে বাচ্চা নেওয়ার – এক নার্স (সেবীকা)হলি ক্রস মেডিক্যালএর চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন ! গত মাসে তার ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয় । আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম সিজারে অনেক বাচ্চা ই তো পৃথিবীতে নিয়ে আসলি অপারেশন করে , এখন তোর সিজার কোন চিকিৎসক করবে ?

উত্তরে জানায় ,

নরমাল ডেলিভারি ‘র জন্য প্রিপারেসন নেওয়া হয়েছে । কারন ! সিজারে বাচ্চা হলে একজন নারী ২য় ,৩য় বার পুনরায় মা হতে গেলে ঝুকি থাকে ৯০.৭ % । অনেক সময়েই বাচ্চার শরীর ছুরি , কাচি লেগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতি হয় যা আমাদের দেশের চিকিৎসক গন কাউকেই বলেন না ! অর্থের লোভে প্রত্যেক গর্ভবতী মা কে মেডিক্যাল চেকাপ এর আগে থেকে ই বলে রাখা হয় সিজারে বাচ্চা নিতে হবে অন্যথায় ! মৃত্যু ঝুঁকির ভয় দেখানো হয় । জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিসয়ক সংস্থা WHO জানিয়েছে একটি দেশে ‘র ১৫% মেয়ে যদি একান্তে ই না পারে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তে বাচ্চা নিতে , সে ক্ষেত্রে সিজার করাতে হবে ।

আমার দেশে বর্তমান সিজারে বাচ্চা হচ্ছে সে অনুপাতে ৯৭.৩% যা নারী স্বাস্থ্য’র জন্য ঝুঁকিপূর্ণ । এই সিজারে বাচ্চা নিতে গেলে যেমন মা মারা যায় বেশীরভাগ সময় তেমনি ক্ষতি হয় নব জন্ম নেওয়া শিশুটির । সিজারে হওয়া বাচ্চা অনেক বেশী অসুস্থ থাকে একটু খেয়াল করে দেখবেন, যা নরমালে হওয়া বাচ্চাদের হয় না খুব একটা । প্রতি বছর সিজারে বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় আমাদের দেশে ২৭.৯% মা ,শিশু ।

এই ছারাও সিজার অপারেশনে রোগীর জন্য রক্ত চাওয়া হয় অনেক সময় ই ১০-১৫ ব্যাগ , যার মধ্যে বড় জোর ২ ব্যাগ রক্ত কাজে লাগিয়ে অন্যগুলো বিক্রি করা হয় । সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে গেছে এখন সিজারে বাচ্চা নেওয়া ! যা বর্তমান নারী দেহ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে নীরবে, চিকিৎসকরা সবই জানেন , বুঝেন কিন্তু হাঁসপাতালের মালিক দের খুশী রাখতে এবং নিজেদের অর্থনীতি কে শক্তিশালী করতে তারা করেন নারীর পেট কাঁটা বিজনেস ।

ব্রণের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ

ব্রণের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ

➣উপটান ১চা চামচ, কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ ,তাজা নিম পাতা বাটা, লেবুর রস বা কমলা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। আপনি চাইলে একটু বেশি পরিমাণে নিয়ে করতে পারেন এবং ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবার মুখ ধোয়ার সময় অল্প পরিমাণে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি মাত্র ৭ দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন।

➣কাঁচা দুধ ,হলুদ গুঁড়া ,অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের কোমলতা বাড়বে এবং সেই সাথে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করবে।

➣১ চা চামচ উপটান, ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস, এবং ১ চা চামচ গোলাপ জল এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। দিনে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। আপনি চাইলে এই মিশ্রণটি ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই ফেস ওয়াশটা প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ এর মধ্যে অন্যতম।

➣১/২ চা চামচ আলু কুচি, ১/২ চা চামচ শশা কুচি, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ টক দই ও ১ চা চামচ পুদিনা পাতা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কালচে ভাব দূর করার সাথে সাথে মুখে আনবে লাবণ্যতা ।

➣পুদিনা পাতা ১ চা চামচ, দারুচিনি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ৪/৫ ব্যবহারের করলেই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

উপরোক্ত ফেস ওয়াশ গুলো অবশ্যই প্রতিদিন ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে কারণ আপনার মুখে সারা রাত ধরে অনেক তেল জমা হয়ে থাকে আর এ থেকেও ব্রণের সৃষ্টি হয়।আর হ্যাঁ মনে করে বাইরে থেকে এসে সাথে সাথে মুখে ফেস ওয়াশ করে ফেলবেন বাইরের ধুলোবালি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন। অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে, কারণ এই সময়ে ত্বক পরিষ্কার না করলে সারা রাত ধরে আপনার মুখে রোগ জীবাণু বহন করে ব্রণের উপদ্রব বাড়িয়ে দেবে। এভাবে ত্বক পরিষ্কার পরিছন্ন রাখলে কিছু দিনের মধ্যে আপনি পাবেন ব্রণ মুক্ত লাবণ্যময় চেহারা।

কাঁচা রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা

 

১) জ্বর ঠোসা
জ্বর হলে, বিশেষ করে রাতে জ্বর হতে থাকলে ঠোঁটের কোণে জ্বর ঠোসা অনেকেরই হয়। আর এতে মারাত্মক ব্যথাও হয়। জ্বর ঠোসা সারাতে কাঁচা রসুনের রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। ব্যথা কমবে আর সেরেও যাবে দ্রুত।

২) ব্রণ
দ্রুত ব্রণ সারাতে বা ব্রণের ব্যথা কমাতে আক্রান্ত স্থানে কাঁচা রসুন বা কাঁচা রসুনের রস লাগান। দ্রুত নিরাময় হবে।
৩) পায়ের চুলকানি
সারাদিন জুতো পরে থাকার পর অনেকেরই পায়ে র‍্যাশ ও চুলকানি হয়। এটা সারাতে উষ্ণ পানিতে রসুন ও সামান্য লবণ দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর সাবান ও সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
৪) গলা ব্যথা
দ্রুত গলা ব্যথা নিরাময় করতে এক কোয়া কাঁচা রসুন চুষে চুষে খেয়ে নিন। গন্ধ ভালো না লাগলে এরপর দুধ খেয়ে নিন এক গ্লাস। কাঁচা রসুনের রস এভাবে আস্তে আস্তে খেলে তা গলা ব্যথায় খুবই উপকারী।
৫) ত্বকের সমস্যা
ত্বকের যে কোন সমস্যা যেমন ফোঁড়া বা ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদি সারাতে রসুন খুবই সহায়ক। কেবল আক্রান্ত সাথে কাঁচা রসুনের রস লাগালেই হবে। ১০/১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন।
৬) হাইপারটেনশন
এই সমস্যা নিরাময়ে রোজ সকালে খালি পেটে কয়েক কোয়া থেঁতো রসুন খেয়ে নিন।
৭) বেশী মাছ ধরতে
মাছ ধরতে খুব ভালোবাসেন? বেশী মাছ ধরার জন্য টোপের মাঝে দিয়ে দিন কাঁচা রসুন। লোভে লোভে প্রচুর মাছ উপস্থিত হবে।
৮) গাছ রক্ষায়
পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছ রক্ষায় রসুন দারুণ উপকারী। মিহি থেঁতো করা কাঁচা রসুন, পানি ও সামান্য তরল সাবান একসাথে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এটা কিছুদিন পর পর গাছে স্প্রে করুন পোকামাকড় দূরে রাখতে।
৯) আঠা হিসাবে!
রসুন ধরার পর লক্ষ্য করেছেন যে হাত কেমন আঠা আঠা হয়ে যায়? কাগজ সহ ছোট খাট অনেক কাজেই আপনি আঠা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন রসুন!
১০) নতুন চুল গজাতে
চুল পড়ে যাচ্ছে খুব? মাথায় নতুন চুল গজাতে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত রসুন ঘষুন। সাড়া রাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিনের মাঝেই নতুন চুল গজাবে।