লিভার ভালো রাখার উপায়সমূহ

লিভার মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং রাসায়নিক ফিল্টারপ্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। তাই লিভার যদি কোনো কারণে কার্যমতা হারায়, তবে মারাত্মক স্বাস্থ্যসমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মদপান বর্জন, একই সূচ ব্যবহারে অনেকে ইঞ্জেকশন নেয়া বন্ধ করা, ভ্যাকসিন নিন হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন হেপাটাইটিস সংক্রমণ থেকে রা করে।
তা ছাড়া বর্তমানে হেপাটাইটিস-এ ভ্যাকসিনও পাওয়া যায়, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ব্যতীত ওষুধ সেবন বন্ধ করা, ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া হার্বাল ওষুধ না খাওয়া, রেজর ব্লেড অন্যের ব্যবহার করা হলে তা ব্যবহার বর্জন, নার্স ডাক্তার রোগীকে ইঞ্জেকশন দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন রোগীর জন্য ব্যবহৃত সূচ নিজের হাতে ফুটে না যায়, কীটনাশক, অ্যারোসল, বিষাক্ত রসায়ন ব্যবহারের সময় মাস্ক, গ্লাভস, লম্বা হাতা জামা, মাথায় টুপি ব্যবহার করা জরুরি, অন্য কারো রক্ত ও শরীরের নির্গত তরল পদার্থ থেকে নিরাপদ থাকুন, ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে দাম্পত্য জীবন যাপন করুন, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন শাকসবজি, ফলমূল, উদ্ভিদজাত খাবার খান; অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাদ্য পরিহার করে, শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখুন।
মেদভুঁড়ি লিভারে নন-এলকহলিক ফ্যাটি লিভার অসুখ হতে ভূমিকা রাখে। ফলে ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস ও সিরোসিস হতে পারে, এ ছাড়া লিভারে হেপাটাইটিস এ ও ই ভাইরাস হেপাটাইটিস সংক্রমণ করতে পারে। এ দু’টি ভাইরাস দূষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে ছড়ায় এ জন্য নিরাপদ পানি গ্রহণ করা জরুরি। যথাযথভাবে ফুটানো পানি ছাড়া রাস্তাঘাটে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বা ট্যাপের পানি পান করা উচিত নয়। খাবার আগে-পরে, রোগীর সেবা করার পরে হাত অবশ্যই ধোয়া উচিত।

Leave a Reply