লিঙ্গ প্রদাহ (Balanitis) – কারণ, লক্ষণ এবং হোমিও চিকিৎসা

লিঙ্গ প্রদাহ (Balanitis) :- লিঙ্গমনি এবং লিঙ্গের অগ্রভাগের চর্মের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির প্রদাহকে লিঙ্গ প্রদাহ বা Balanitis বলে। বাংলায় এই প্রদাহকে মনোষ বলা হয়ে থাকে। সাধারনত যাদের লিঙ্গের অগ্রভাগের চর্ম অধিক লম্বা তাদেরই এই পীড়া হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় প্রমেহ রোগের উপসর্গ রূপে ইহা প্রকাশ পায়। এছাড়া সহবাস করলে ঘর্ষণ জনিত চর্মময় বা শ্বেতপ্রদরে আক্রান্ত স্ত্রীলোকের সঙ্গে সহবাস করলে এই প্রদাহ হতে পারে।

লিঙ্গ প্রদাহের (Balanitis) লক্ষণ :- ইহাতে প্রথমে আক্রান্ত স্থান লালবর্ণ ধারণ করে, চুলকানি হয়, গরম বোধ ও বেদনাযুক্ত হয়। তারপর পুজ পড়তে থাকে এবং কখনো কখনো ক্ষত হয়ে যায়। লিঙ্গের সম্মুখ অংশ ও ইহার আবরণ প্রদাহিত হয়। ফুলে উঠে, ঘোর লাল বর্ণ হয়, টন টন করে, কাপড়ের ঘষা লাগলে বেদনা অনুভব হয়। প্রদাহিক স্থানের মধ্য হতে প্রচুর পরিমানে তরল হরিদ্রা বর্ণের বা সবুজাভ দূর্গন্ধযুক্ত চটচটে পুঁজ নির্গত হতে থাকে। কখনো কখনো লিঙ্গমুন্ডের উপর লাল বর্ণের ভাসা চওড়া ক্ষত সৃষ্টি হয়। ১০/১৫ দিন পর্যন্ত এই ক্ষতের কোন প্রকার পরিবর্তন দেখা যায় না কিন্তু তারপরে আপনা আপনি আরোগ্য হয়। কিন্তু অনেক সময় আবার ভয়ঙ্কর রূপ লাভ করে থাকে। তখন ইহা উপদংশ পীড়ার সেন্গ্কারের মক্ত রূপ লাভ করে।

রোগীর মধ্যে যদি কোন সিফিলিস বা গনোরিয়া জাত জীবানু না থাকে তবে ইহা শীগ্রই আরোগ্য লাভ হয় নতুবা সহজে আরোগ্য লাভ করতে চায় না এবং রোগী বেশ যন্ত্রণা ভোগ করে। অনেক সময় শিশুদের এই রোগ দেখা দেয়। যে সকল শিশুর নিতান্ত রুগ্ন এবং যাদের লিঙ্গাগ্রে চর্ম লম্বা তারা অনেক সময় এই পীড়ায় আক্রান্ত হয়। তবে এই সমস্যার যথাযথ হোমিও ট্রিটমেন্ট রয়েছে। অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে চিকিৎসা নিলে খুব অল্প সময়েই লিঙ্গ প্রদাহ দূর হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *