শিশু জন্ম দানের পর অনেক সময় স্বাভাবিকের তুলনায় মায়েদের বুকে দুধ কমও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে সুষম আহার ও পূর্ণ বিশ্রাম আবশ্যক। দুধবর্ধক কিছু ওষুধ এবং পথ্যও আজ বাজারে পাওয়া যায়। তবে সাহস জোগালেই অনেক সময় ফল পাওয়া যায়। তখন যে কোন ভাবে প্রসুতি মায়ের কিছু করটিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে পারলে স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা। মায়ের বুকে স্বাভাবিকের চেয়ে দুধ কম হলে যে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে সে গুলো সম্পর্কে নিচে আলোকপাত করা হলো:-
বুকে দুধ জমে যাওয়া :-
শিশু জন্মানোর পর চতুর্থ দিনে যখন দুধ বেশি আসে তখন বেশি ক্ষরণ ও সঞ্চয়ের জন্য কখনো কখনো বুকে অতিরিক্ত ব্যথা হয়। এতে মায়ের খুবই কষ্ট হয়। এ সময় স্তনকে খুব ভালো সাপোর্ট দেয়ার জন্য সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে কম্প্রেস করতে হবে। ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধেরও দরকার হতে পারে। স্তন খুব শক্ত হলে শিশু মুখ লাগিয়ে খেতে পারে না। এ ব্যাপারে মাকে সাহায্য করতে হবে এবং দরকার হলে হাতে করে কিছুটা দুধ বার করে দিতে হবে। তবে এ সমস্যা সাধারণত ২-১ দিনের বেশি থাকে না।
সোর বা ক্র্যাকড নিপল :-
অনেক নতুন মায়েরই স্তন বৃন্ত ফেটে যায় বা ঘা হয়ে যায়। নিপলে ঘা বা ফেটে যাওয়া মতো হলে মা শিশুকে দুধ দিতে পারে না। শিশুও ওই স্তন থেকে দুধ খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত স্তনে বিশ্রাম দিতে হবে এবং স্তন থেকে হাতে করে দুধ বার করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে ছাড়া কোনো প্রকার অয়েনমেন্ট ব্যবহার করা যাবে না।
ক্লান্তি ভাব :- অনেক সময় দেখা যায় শিশুকে দুধ দিতে দিতে মায়ের ক্লান্তি চলে আসে। মাকে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। কখনো শিশু বেশি বেশি দুধ চায়। তাই ক্লান্তিটা অনেকাংশেই স্বাভাবিক। ২-১ দিনের মধ্যে ব্যাপারটি ঠিক হয়ে যায়। তাই অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে মাকে বিশ্রাম ও উপযুক্ত আহার গ্রহণ করতে হবে।
স্তনে পুঁজ জমা :-
অনেক সময় শিশুর জন্মের বেশ কিছু দিন পরে স্তন বা এর কিছু অংশ লাল হয়, খুব ব্যথা হয়, যেন ভেতরে কিছু আছে এমন অনুভব হয় এবং জ্বর আসে। এসব স্তনে পুঁজ জমার লক্ষণ। যদিও অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই ঠিক হয়ে যায়, তবে অনেক সময় কেটেও পুঁজ বার করতে হয়। এ সময় মায়েরা চায় শিশুকে দুধ দেয়া একবারে বন্ধ করতে। কিন্তু অন্য স্তনে দুধ দেয়া চলতে পারে। পুঁজ হওয়া স্তনে চাপ দিয়ে দুধ বার করে ফেলে দিতে হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হবার পর আবার ওই স্তনে দুধ দিতে পারেন।
তবে ঐ সময় যে কোনো সমস্যায় নিজেদের খেয়াল খুশি মত কিছু না করে সরাসরি চিকিত্সকের পরামর্শ নিন এবং সে অনুযায়ী চলাফেরা করুন।