বর্ষা মৌসুমে ত্বকের ৫টি সমস্যা ও আপনার করণীয়

বর্ষা মৌসুমে ত্বকের ৫টি সমস্যা ও
আপনার করণীয়
বাংলা ক্যালেন্ডারে এখন
বর্ষাকাল। সবে গ্রীষ্মের বিদায়
ঘটেছে। তীব্র গরমে এই মৌসুম
নানাভাবে অসুস্থ
করে তোলে আপনাকে। বিশেষ
করে ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক বেশ
কয়েকটি কারণের উদয় ঘটে।
যারা এসবের শিকার হয়েছেন তাদের
সেই রেশ এখনো কাটেনি। আবার
গ্রীষ্মের সমস্যা অনেকের
এখনো দেখা দিতে পারে।
এখানে গরমকালের
পাঁচটি সমস্যা এবং আপনার করণীয়
সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন নিউ
ইয়র্ক সিটির ডার্মাটোলজিস্ট
ববি বুকা।
১. ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ :
গরমে ত্বকে ছাত্রাকঘটিত ইনফেকশন
হয় যাকে বলে ইয়েস্ট ইনফেকশন
বা টিনিয়া ভার্সিকালার।
আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায়
অতিরিক্ত ঘামের ফলে এ সমস্যা হয়।
পিঠে, বুকে এবং ঘাড়ে এই ইনফেকশন
হতে পারে।
চিকিৎসা-প্রতিরোধ : পরিষ্কার-
পরিচ্ছন্নতা ইনফেকশন
থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়।
জেডএনপি বার নামে এক ধরনের
উপাদান রয়েছে যা গোসলের সময়
পানিতে ব্যবহার করলে ছত্রাক আর
বাড়তে পারে না।
২. বিষক্রিয়ায় র্যাশ :
অ্যালির্জির উদ্রেক করে এমন
জিনিসের স্পর্শে ত্বকে র্যাশ
ওঠে। এতে চুলকানি হয়
এবং স্থানটি লালচে হয়ে যায়। এ
ধরনের সমস্যাকে বলা হয় ‘কনট্যাক্ট
ডার্মাটিডাইটস’। বাগানে কাজ
করার সময় লতা-পাতা এবং ফুলের
স্পর্শে এগুলো বেশি হতে পারে।
চিকিৎসা-প্রতিরোধ :
অ্যালার্জি হতে পারে এমন
জিনিসের স্পর্শ
থেকে দূরে থাকতে হবে।
তবে সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়া ভালো।
৩. কীট-পতঙ্গের কামড় : বসত-বাড়ির
আশপাশের
ময়লা বা ঝোপঝাড়ে নানা কীট-
পতঙ্গ-মশা থাকে। এদের
কামড়ে এবং ত্বকের ওপর বসাতেও
সমস্যা হয়ে যেতে পারে। বিশেষ
করে আমাদের মশার উপদ্রব
ব্যাপকভাবে হজম করতে হয়। মানুষের
প্রশ্বাসের মাধ্যমে বের কার্বন
ডাই অক্সাইড এবং ত্বকের
উপরিভাগে উৎপন্ন পদার্থ লিপিডের
কারণে মশা ও পোকা-মাকড় কামড়
বসাতে আসে।
চিকিৎসা-প্রতিরোধ :
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ত্বকের লিপিড
উৎপাদন বন্ধ করতে পারবেন না। কারণ
এর সঙ্গে জেনেটিক কারণ জড়িত। এ
ক্ষেত্রে এসব কীট-
পতঙ্গকে ভাগাতে নানারকম
রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায়। মশার
কামড় থেকে বাঁচতে কয়েল ও
মশারি ব্যবহার করুন। হবে পোকার
কামড়ে যদি খুবই পীড়াদায়ক কিছু
ঘটে, চিকিৎসককে দেখান।
৪. ফলিকালটিস : ব্যাকটেরিয়ার
সংক্রমণে ত্বকে এসব সমস্যা হয়।
গ্রীষ্মে কাপড়ের
ময়লা থেকে ব্যাকটেরিয়া ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে।
এরা উষ্ণ, ভেজা এবং অন্ধকার
স্থানে বেড়ে ওঠে। তাই বগলে,
উরুতে এবং যেসব স্থানে আলো-
বাতাস পৌঁছে না সেসব
স্থানে ফলিকালটিস হতে পারে।
চুলকানি হয়ে লাল হয়ে যায়
আক্রান্ত অংশ।
চিকিৎসা-প্রতিরোধ : স্কিন-টাইট
পোশাক পড়বেন না। ঘামে-ময়লায়
প্রতি দিনই কাপড় নোংরা হয়। তাই
এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
সাবধানতার জন্য
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল
ক্লিনজার হিবিক্লেনস ব্যবহার
করতে পারেন।
৫. মলিউস্কাম ভাইরাস : এটি খুবই
বিরক্তিকর সংক্রমণ ঘটায়। সাধারণত
শিশুদের এর সংক্রমণ হয়। দেহের
ত্বকে এক
স্থানে বাসা বাঁধলে এখানে-
সেখানে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বড়দের
ইমিউন সিস্টেম এই ভাইরাসের
সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে।
ক্লোরিনেটেড পানিতে এই
ভাইরাসের জন্ম হয়।
চিকিৎসা-প্রতিরোধ : যেহেতু
ক্লোরিন দেওয়া পানিতে এই
ভাইরাস থাকে, তাই
গ্রীষ্মে সুইমিং পুলে ঝাঁপাঝাঁপি বিপজ্জনক
হয়ে ওঠে। তাই সুইমিং পুল
থেকে উঠেই সাধারণ
পানিতে পরিষ্কার হয়ে নিতে হবে।
হোমিও
চিকিৎসা পেতে ভিজিট করুণ
www.somadhanhomeohall.com


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *