প্রাকৃতিক উপায়ে প্রসুতি মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করবেন কিভাবে ?

আমাদের দেশে প্রায় ৮৫% মায়েরা মনের সন্দেহের কারণেই অভিযোগ করে বসেন যে বুকের দুধ তার সন্তান ঠিক মত পাচ্ছে না, এ ধরনের কোনো সমস্যা থাকলে এমনিতেই তা ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা যদি প্রসুতি মাকে উৎসাহ দিয়ে তার মানসিক চাপটা কমিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায় অর্থাৎ স্ট্রেস হরমোনের পরিমান যে কোন উপায়ে কমানোটাই হচ্ছে এর উত্তম মাধ্যম। তারপরও নিচের ব্যাবস্থা সমূহ ৫/৭ দিন করে নিতে পারলে দেখবেন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সর্ব প্রথম প্রসুতি মাকে স্ট্রেস কমাতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক কোন কারণে হলেও তা বুঝিয়ে দূর করার চেস্টা করতে হবে অন্তত তার শিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। কারণ অনেক সময়ই দেখা যায় মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু অবেহালা জনিত ব্যাবহার, স্বামীর সন্তান বা মায়ের প্রতি ভালবাসার কিছুটা অনিহা ………..ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায়। এধরনের সংকীর্ণতা পরিহার করে প্রসুতি মাকে উত্সাহ দিয়ে তার যাবতীয় মানুষিক চাপ দূর করতে হবে।
সেই সাথে মাকে প্রতিদিন কম পক্ষে ১৮০০ ক্যালরি ক্ষমতা সম্পন্ন খাবার খাওয়াতে হবে । অবশ্যই আর ও ভাল হবে যদি যে সব খাবারে উচ্চ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, দুধ ও ডিম জাতীয় খাবার, প্রচুর ভিটামিন যোক্ত ফল, এবং উন্নত মানের কিছু লতা পাতা জাতীয় শাঁক ও তরকারী, লবণাক্ত মাছ বা সারটিন জাতীয় মাছ, বাদামী চাল, চর্বিহীন মাংস, এবং কচি মুরগের বাচ্চা ইত্যাদি নিজ সাধ্যমত খাওানোর চেস্টা করা উচিত।
এরপরও যদি দেখা যায় মায়ের বুকে বেশী দুধ ভালো আসছেনা যা কোন অসুখের কারণেও হতে পারে, তা হলে আপনার হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নিন। তাছাড়া নবজাতক যদি মায়েদের বুকের দুধ না পায় সেক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় মায়েদের বুকের দুধ বাড়ানোর সুন্দর সমাধান রয়েছে। তাই সে ক্ষেত্রে আপনি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন হোমিও চিকিৎসা নিতে পারেন যা আপনার এবং আপনার সন্তান দু’ জনের জন্যই মঙ্গলজনক। কারণ হোমিওপ্যাথি হলো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *