পুরুষের যৌন সমস্যা এবং হোমিওপ্যাথিক সমাধান

জীবনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিটি মানুষের যৌবন মানুষের জীবনে আসে। এই সময়টাই মানুষের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সময়। এই সময়ে নারী ও পুরুষের দেহ-মনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এসময় একই সাথে নারী ও পুরুষদের নানা ধরনের শারীরিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। যা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।
মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও নানা ধরনের যৌন সমস্যা রয়েছে। যেমন – প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশেন (সহবাসে স্থায়িত্বের অভাব), ইরেকশন ফেইলিউর (পুরুষাঙ্গের উত্থানে দুর্বলতা), পেনিট্রেশন ফেইলিউর (যৌনাঙ্গ ছেদনে অক্ষমতা) প্রভৃতি। ডাক্তারী বিজ্ঞানমতে, পুরুষদের এসব সমস্যার জন্য যেসব বিষয়কে দায়ী করা হয় সেগুলো হলো:
  • প্রয়োজনীয় যৌন শিক্ষার অভাব
  • যার সাথে সহবাসে মিলিত হওয়া সেই মানুষটির সাথে বয়সের পার্থক্য
  • সহবাসকারী পার্টনারকে অপছন্দ (যেমন: দেহের ত্বক, মুখশ্রী, দেহ সৌষ্ঠব প্রভৃতি)
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ
  • ডায়াবেটিস
  • যৌনরোগ বা এইডস ভীতি
  • সিফিলিস
  • নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাঙ্গ
  • দেহে সেক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
আমাদের মধ্যে অনেকেই লজ্জায় এসব বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ থেকে সমস্যা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই এসব সমস্যা নিজের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ, ভিডিআরএল, টিপিএইচ, এইচবিএসএজি ও রক্তের হরমোন এনালাইসিস এর মাধ্যমে এথেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
এছাড়া আপনি চাইলে ঘরে বসেই এসব সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এই পদ্ধতিকে বলা হয় হোম রেমেডি। তবে সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় হোম রেমেডি পদ্ধতি প্রয়োগ করে রোগটি কিছুটা উপকার পাওয়া গেলো সমস্যা পুরোপুরি দূর হয় না। অ্যালোপ্যাথরা অধিকাংশ সময়ই নানা উত্তেজক ঔষধ প্রয়োগ করে থাকেন তাতে তাত্ক্ষণিক একটা ফলাফল পাওয়া গেলেও কিছুদিন পর থেকেই তার বিরূপ প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সায় রোগের কারণটাকে একেবারে রুট লেভেল থেকে নির্মূল করে দেয় বিধায় তা আর পরবর্তিতে দেখা দেয় না। তাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ফলদায়ক চিকিত্সা হলো হোমিওপ্যাথি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *