কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্রনিক বা দীর্ঘ মেয়াদি কাশি, ডায়রিয়া, গর্ভধারণ, লিভার সিরোসিস, প্রস্রাবে বাধা, মলদ্বারের ক্যান্সার, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করা সহ অনেক কারনে পাইলস বা অর্শ রোগের সৃষ্টি হয়।
উপসর্গ বা লক্ষণ :-
- সাধারণত মলদ্বার দিয়ে টাটকা রক্ত ঝরাই একমাত্র লক্ষণ। বিশেষ করে মলত্যাগের সময় মলের এক পাশ দিয়ে টাটকা রক্ত আসতে দেখা যায়।
- মলদ্বার দিয়ে রস নির্গত হওয়া যা মলত্যাগের আগে ও পরে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে থাকে।
- মলদ্বার বেরিয়ে আসা।
- রক্ত শূন্যতা, মলদ্বারে ব্যথা ইত্যাদি।
চিকিৎসা না করালে মলদ্বারে আলসার, গ্যাংগ্রিন, ফোঁড়া বা এরসেস, থ্রম্বোসিস ইত্যাদি জটিলতার সৃষ্টি হয়। বেশ কিছু ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানী অর্শ বা পাইলস রোগের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট বাজারজাত করেছে, যা ১০ ও ২০ শুরুর মাত্রা হলে সুফল পাওয়া যায়। তবে দেরীর ২০ এবং তৃতীয় ডিগ্রীর পাইলস-এর অপারেশনের বিকল্প চিকিৎসা নাই। একজন রোগী কত ডিগ্রী পাইলস-এ আক্রান্ত একজন সার্জন মলদ্বার পরীক্ষা করে বলতে পারেন।
কাজেই উপরের যে কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই একজন সার্জন বা শল্যচিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। যদি আপনি অপারেশন করাতে চান। তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সায় এর রয়েছে বেশি সফলতা। আপনি যদি অপারেশন করাতে না চান তবে হোমিওপ্যাথি হলো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সমাধান।
কোষ্ঠ কাঠিন্য আক্রান্তদের জন্য পরামর্শ :-
- প্রতিদিন পানি খাবেন- ১৫ থেকে ২০ গ্লাস
- আশযুক্ত খাবার অর্থাৎ টাটকা শাক-সবজি, ফল মূল বেশি বেশি খাবেন।
- সকাল এবং রাতে ২ চামচ ইসুফগুলের ভুষি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পর পর দুই সপ্তাহ খাবেন। রাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে।
- পরপর তিনদিন পায়খানা না হলে দুইটা অথবা তিনটা গ্লিসারিন সাপোজিটর মলদ্বারে নির্দেশ মত ব্যবহার করতে হবে।
মলত্যাগের বাসনা নিয়ে সকালে হউক বা রাতে হউক একটি নির্দিষ্ট সময় প্রতিদিন টয়লেটে যেতে হবে। মানুষ অভ্যাসের দাস সে অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। এতো কিছুর পরেও যদি সুফল না আসে তা হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।