নিউমোনিয়ার কারন,লক্ষন,প্রতিকার….

নিউমোনিয়ার কারন,লক্ষন,প্রতিকার

নিউমোনিয়া মানে হলো ফুসফুসে প্রদাহ। এটি জটিল ও বিপজ্জনক রোগ। এই রোগ বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। শিশু ও প্রবীণদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।ইহা হলো ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ বিশেষ। সাধারণত ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া , ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়া থেকে ফ্লু হবারও সম্ভাবনা থাকে।এ ছাড়া নিউমোনিয়া হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।, ‘শ্বাসকষ্ট থেকে আরো জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রেসপিরেটরি ফেইলিউর হতে পারে, ফুসফুসে পানি জমতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে।’

**উপসর্গসমূহঃ
‌‌নিউমোনিয়ার উপসর্গ গুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কি ধরণের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার উপর। 📢নিউমোনিয়ার লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপ:

🕸জ্বর
🕸কাশি
🕸শ্বাসকষ্ট
🕸কাপুনি
🕸ঘাম হওয়া
🕸বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে
🕸মাথা ব্যথা
🕸মাংসপেশীতে ব্যাথা
🕸ক্লান্তি অনুভব করা

‍📢কারণঃ
👉ব্যাকটেরিয়া ->নিউমোক্কাস,স্ট্যাফাইলোক্কাস ইত্যাদি।
👉আদ্যপ্রানী-> এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা
👉ছত্রাক : মূলত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ছত্রাক দিয়ে হয়।
👉ভাইরাস।
👉কেমিক্যেল
👉হঠাৎ ঠান্ডায় উন্মুক্ত হওয়া
👉অপারেশনের পরর্বতী সময় ইত্যাদি।

📢কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ
১। অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম , বুকে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
২। এছাড়া,যারা বৃদ্ধ এবং শিশু,
৩।যারা ধূমপান করেন
৪।যারা ফুসফুসে কোন আঘাত পেয়েছেন
৫।যাদের কেমোথেরাপি (ক্যান্সারের চিকিৎসা) অথবা অন্য কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে

**নিউমোনিয়া সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। নিউমোনিয়ার চিকিৎসা হয় মূলত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে। এ জন্য আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে অন্যদের ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তাই এদের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও শীঘ্রই সুস্থতা দান করে

📢প্রতিরোধ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম, তাদেরই নিউমোনিয়া বেশি হয়। এ জন্য যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সাবধান থাকতে হবে। প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগুলো নিতে হবে। আর শীতের সময় খুব সাবধানে থাকতে হবে। কারণ, ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া হতে পারে।’
যেসব রোগী দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকে, তারা অন্য রোগী ও সরঞ্জাম থেকে সংক্রমিত হয়ে নিউমোনিয়া বাধিয়ে ফেলতে পারে। এ ধরনের নিউমোনিয়াকে অ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া বলা হয়।
প্রবীণ ব্যক্তি আর শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো।এক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রবীণ এবং শিশুদের নিউমোনিয়া হতে পারে।

বাংলাদেশ এ শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে নিউমোনিয়া। শীতকালে এটি আরও বেড়ে যায় তাই লক্ষন দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।পরিশেষে সবার সুস্থতা কামনা করি,, ভালো থাকুক আপনার সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *