নারীর গর্ভধারন এবং নির্দ্ধিষ্ট ওভুলেশান বা ডিম্বনিঃস্বরন লক্ষন

ডিম্বনিঃস্বরন লক্ষন বিচার করা একটি দুরুহ কাজই বটে। তবুও ডিম্বনিঃস্বরন অনুমান করা এবং সেই সময়ের আশেপাশে স্বামী-স্ত্রীর মিলন গর্ভধারনের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। ডিম্বনিঃস্বরন বলতে নারীর ডিম্বকোষ থেকে পরিপক্ক ডিম্বের বহিঃর্গমনকে বুঝায়। ডিম্বনিঃস্বরন সাধারনত সংঘটিত হয় ঋজচক্রের ১৪ তম দিনে। তবে ডিম্বনিঃস্বরনের সময় নারীভেদে এমনকি একই নারীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন দিনে হতে পারে। ডিম্বনিঃস্বরন লক্ষনগুলো নিম্নরূপ হতে পারে :-
তলপেটে খিচুনী :- কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে ডিম্বনিঃস্বরন সময়কালে পেটে খুব হালকা খিচুনীর সৃষ্টি হতে পারে।
যোনী থেকে ক্ষরিত রসে পরিবর্তন :- ডিম্বনিঃস্বরনের ঠিক আগ মুহুর্তে যোনীপথ থেকে সামান্য অধিক পরিমানে স্বচ্ছ তরল, আঠালো রস নির্গত হতে দেখা যেতে পারে। নিঃস্বরিত তরলটি দেখতে ডিমের সাদা লালার মত দেখতে। যদি ডিম্বটি নিষিক্ত হয়ে যায় অর্থাৎ গভধারন হয়ে যায় তাহলে তরলগুলো সাদা রঙের হতে থাকে অথবা সম্পুর্ন রূপে অদৃশ্য হয়ে যায়।
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি :- ডিম্বনিঃস্বরন সময়কালে নারীর শরীরের তাপমান স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ডিম্বনিঃস্বরন সয়ম অনুমান করার জন্য প্রতিদিন ঘুম থেকে জাগার পর ডিজিটাল/সুক্ষ তাপমান মাপক যন্ত্র দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে তা একটি ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করে রাখুন। সাধারনত শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবার দুই-তিন দিন আগের সময়টায় নারী ফার্টাইল অর্থাৎ সন্তান উৎপাদন করতে সক্ষম থাকে।
এসব বিষয়েরে পাশাপাশি আপনি হয়তো “ওভুলেশান কাউন্টার কিট” দিয়ে ডিম্বনিঃস্বরন নিরীক্ষন করতে পারেন। এ ধরনের কিট প্রস্রাব পরীক্ষার সাহায্যে শরীরের হরমোন জনিত পরিবর্তন বিবেচনা করে ডিম্বনিঃস্বরনের সম্ভাব্য সময় বলে দিতে পারে। গর্ভধারনের সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য ডিম্বনিঃস্বরন সময়কালে এবং তার আগে-পরে ২/৩ দিন সর্বনিন্ম দৈনিক স্বামী-স্ত্রীর একবার শাররীক মিলন অত্যাবশ্যক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *