নারীদের রজ নিবৃত্তি বা মেনোপজ ও এর লক্ষণসমূহ

নারীদের রজ নিবৃত্তি বা মেনোপজ :- নারীদের অধিক বয়স হলে ঋতুস্রাব কমে আসে এবং ধীরে ধীরে একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থা সাধারনত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু পূর্বে বা কিছু পরেও ঘটতে পারে। এইরূপ অবস্থাকে ঋতুস্রাব নিবৃত্তি বা মেনোপজ বলে। এই অবস্থায় জরায়ুর আকার ছোট হয়ে যায়, যোনিদেশ সংকোচিত হয় এবং দুর্বলতার লক্ষণ বাড়ে।
 
কিন্তু স্নায়ুবিক ভাবে ঋতুস্রাব বন্ধ না হয়ে যদি তা চলতে থাকে এবং যদি স্নায়ুর উগ্রতা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বার বার গরমবোধ, শির পীড়া, হৃদকম্পন এবং হিস্টিরিয়া, বমিভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, উদরে বায়ুর সঞ্চয়, অধিক মাত্রায় ঘাম বা প্রচুর প্রস্রাব প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায় তবে যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজন আর এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা প্রায় মন্ত্রের মতো কাজ করে।
নারীদের রজ নিবৃত্তির লক্ষণ :- নারীদের শেষ ঋতু বন্ধ হবার আগে ঋতু সম্পর্কে নানা প্রকার অনিয়ম দেখতে পাওয়া যায়, কখনো প্রচুর বা অল্পস্রাব হয়, কখনো বা হঠাত ঋতু বন্ধ হয়ে কিছুক্ষণ থেকে বন্ধ হয়ে যায়, কখনো কখনো উপসর্গ উপস্থিত হয় আবার কখনো কখনো উপসর্গ প্রকাশ না পেয়ে ক্রমে ক্রমে ঋতু বন্ধ হয়ে যায়। কোনো কোনো স্ত্রীলোকের শেষ ঋতু বন্ধ হবার সময় অত্যন্ত রক্তস্রাব, মাথাধরা, মাথাঘোরা, মাথা ঝিম ঝিম করা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে।

নারীদের রজ নিবৃত্তিকালে এই সকল লক্ষণসমূহ প্রকাশ পাবার কারণ হলো – এই সময় দেহের বিভিন্ন অন্তনিঃসরণশীল গ্রন্থিসকলের যথাযথ কাজ সম্পর্কীয় বিশেষ অসংহতি বা কিছু সময়ের জন্য ইহাদের পারস্পরিক সহযোগীতার সম্পূর্ণ অভাব। রজ নিবৃত্তির সমাপ্তির পূর্বে কোন কোন নারী বেশ সুস্থ এবং সবল হয়ে উঠেন। তবে দেখা যায় কারো কারো ক্ষেত্রে বেশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায় এবং ঐ অবস্থায় ট্রিটমেন্ট এর দরকার হয়ে পড়ে। আর নারীদের রজ নিবৃত্তিকালে যেকোন বিরূপ উপসর্গে হোমিওপ্যাথি ঔষধ স্রষ্ঠার আশীর্বাদের মতো কাজ করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তখনকার যাবতীয় জটিল উপসর্গসমূহকে প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই পুরুপুরি নির্মূল করে থাকেন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথরা।


Leave a Reply