নারীদের গোপন ঋতুস্রাবের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

নারীদের গোপন ঋতুস্রাব (Cryptomenorrhoea) :- সাধারণত প্রতি ২৮ দিনে স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। ইহার ব্যতিক্রম ঘটলে নানাবিধ রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়। অনেক সময় নারীদের ঋতুস্রাব হয় কিন্তু তা এত সামান্য এবং কিঞ্চিতকর যে নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। এই প্রকারের ঋতুস্রাবকে গোপন ঋতুস্রাব বা Hidden Menstruation বা Cryptomenorrhoea বলা হয়।

 
নারীদের গোপন ঋতুস্রাবের কারণ :- বিভিন্ন কারণে এইরূপ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে যেমন – অনেক সময় নানা রকম পর্দার দ্বারা জরায়ু এবং যোনিমুখ আবৃত থাকার জন্য ঋতুস্রাব ঠিকমতো হতে পারে না। কখনো কখনো জন্মগত কারণে সতীচ্ছেদ একেবারে ছিদ্রশূন্য থাকে। এর ফলে ঋতুস্রাব ঠিকমতো হতে পারে না। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে পর্দা জরায়ু মুখকে আটকে রাখে। এছাড়া শারীরিক দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা, অপুষ্টি ইত্যাদির জন্য ঠিকমতো রজস্রাব হয় না। অতি সামান্য হয় তা ঠিক বুঝতে পারা যায় না। অনেক সময় আঘাতের জন্য জরায়ু মুখ আটকে থাকে, এর ফলেও ঋতুস্রাব হয় না অথবা এত সামান্য হয় যে ধরা যায় না।

নারীদের গোপন ঋতুস্রাবের লক্ষণ :-
গোপন ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন – রক্ত জননেন্দ্রিয়ের অভ্যন্তরে জমা হতে পারে এবং এর ফলে নানারূপ লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে ও ঋতুস্রাব বাইরে নির্গত হয় না। অনেক সময় তরুনীদের ঋতুস্রাবের বয়স হওয়া এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি যথাযথভাবে বৃদ্ধি লাভ করা সত্বেও ঋতুস্রাব হচ্ছে না। প্রস্রাব স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় কিন্তু স্রাব ঠিকমতো হয় না বা একেবারেই হয় না অথবা দু’এক ফোটা করে হয় মাত্র। মলত্যাগ কালে ব্যথা পায়, বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যে এই ব্যথা অসহ্য হয়ে উঠে। কখনো কখনো দেহের তাপমাত্র বৃদ্ধি পায় এবং জ্বর জ্বর ভাব দেখা দেয়।

এই সমস্যায় দেরী না করে রোগ আক্রমনের সাথে সাথেই চিকিত্সা নিলে রোগের বিস্তার আর সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না, অর্থাৎ উপসর্গ গুলি ততটা জটিল আকার ধারণ করতে পারে না। কিন্তু দেখা যায় প্রপার ট্রিটমেন্ট না করলে সমস্যাটি পুরুপুরি নির্মূল হতে চায় না। নারীদের গোপন ঋতুস্রাব (Cryptomenorrhoea) এর প্রাথমিক বা পুরাতন উভয় অবস্থাতেই প্রপার হোমিওপ্যাথি ট্রিটমেন্ট নিলে পুরুপুরি নির্মূল হয়ে রোগী আরোগ্য লাভ করে থাকে। তবে এর জন্য অবশ্যই ভাল এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।


Leave a Reply