ছেলে-মেয়েদের কিশোর বা কিশোরী বয়সের প্রাথমিক পর্যায়ে শারীরিক এবং হরমোনজনিত পরিবর্তন শুরু হওয়াকেই সাধারণত বয়ঃসন্ধির সময় ধরা হয়ে থাকে। বয়ঃসন্ধি হচ্ছে কিশোরকালীন সময়ের শুরুতে শারীরিক পরিবর্তনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যার ফলে সে শিশু থেকে কৈশরে পা রাখে এবং প্রজননে সামর্থ হয়। এই সময়ে যে পরিবর্তনগুলি হওয়ার কথা তা যদি সঠিক ভাবে না হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি চিন্তার উদ্রেগ করে বৈকি। তাই আপনার ছেলে মেয়েদের কারো এমনটি হলে বিষয়টা নিয়ে চিকিত্সকের সাথে আলোচনা করতে দেরী করবেন না। এখন আসুন এবিষয়ে আরো কিছু তথ্য জেনে নেই –

দেরীতে বয়ঃসন্ধি কত সময় স্থায়ী হতে পারে?
বয়ঃসন্ধি হয়তো কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং তা স্বাভাবিক বিষয়, তাই এটিকে স্বাভাবিক বলা যায়।
দেরীতে বয়ঃসন্ধির লক্ষন :-
ছেলে মেয়েদের বয়ঃসন্ধির দেরী হবার লক্ষন সমুহের মাঝে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু কারণ নিম্নরূপ :-
ছেলেদের ক্ষেত্রে কেন হয় ?
- ছেলেদের ১৪ বছর বয়সের আগে শুক্রাশয় বড় না হওয়া।
- বয়ঃসন্ধি শুরুর পাঁচ বছরের মধ্যে লিঙ্গের পরিপুর্নতা/বৃদ্ধি সম্পুর্ন না হওয়া।
- গোপনাঙ্গে এবং গোঁফে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে চুল না গজানো।
মেয়েদের ক্ষেত্রে কেন হয় ?
- মেয়েদের ১৩ বছর বয়সের মধ্যে স্তনের আকার পরিবর্তন না হওয়া।
- মাসিক ঋজঃস্রাব এবং স্তনের আকার পরিবর্তনে পাঁচ বছরের বেশি ব্যবধান থাকা।
- ১৬ বছর বয়সের আগে মাসিক ঋজঃস্রাব শুরু না হওয়া।
- গোপনাঙ্গে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে চুল না গজানো।
কি কারনে বয়ঃসন্ধি দেরী হতে পারে ?
নানা কারনে দেরীতে বয়ঃসন্ধি হতে পারে। তবে সচরাচর যে সকল বিষয় দেখা যায় তা হচ্ছেঃ
- ক্ষুধাহীনতা
- খাবারে অনীহা
- মনস্তত্ত্বিক খাদ্য গ্রহনে অনীহা
কি করবেন ?
অনেক সময় অভ্যন্তরীণ শারীরিক গন্ডগোলের কারণে বা অন্য কোনো রোগ-ব্যাধির কারনেও এমনটি হতে পারে। তাই যে কারণেই হোক না কেন বিষয়টি নিয়ে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে আলোচনা করুন।
অনেক সময় অভ্যন্তরীণ শারীরিক গন্ডগোলের কারণে বা অন্য কোনো রোগ-ব্যাধির কারনেও এমনটি হতে পারে। তাই যে কারণেই হোক না কেন বিষয়টি নিয়ে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে আলোচনা করুন।