আমাদের জানাশুনা সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হলো কোষ্টকাঠিন্য। অনিয়ন্ত্রিত খাবার দাবার অথবা স্থান বা পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যায় পরেন নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কিন্তু বিষয়টি যখন ক্রনিক হয়ে দাড়ায় তখন সত্যিই চিন্তার বিষয়।
কোষ্টকাঠিন্য বলতে কেবল শক্ত পায়খানাকে বুঝায় না, নরম পায়খানাও যদি বের করতে কষ্ট হয়, তাকেও কোষ্টকাঠিন্য বলা হয়। কোষ্টকাঠিন্য কোন রোগ নয় বরং এটি শরীরের ভেতরকার অন্যকোন মারাত্মক রোগের একটি লক্ষণ মাত্র। তবে দীর্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্য চলতে থাকলে পাইলস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, হৃদরোগ, হজমশক্তির দুর্বলতা, পেট ফাঁপা, দুর্বলতা, মেদভুঁড়ি, মাথা ব্যথা, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, শরীরে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বিষন্নতাসহ নানা রকমের মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
কোষ্টকাঠিন্য হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো পায়খানার বেগ হওয়ার পরেও পায়খানা না করে তাকে চেপে রাখা। চেয়ারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকাও কোষ্টকাঠিন্য হওয়ার আরেকটা বড় কারণ। এজন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সকালে বা রাতে) পায়খানা করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের শাক-সবজি, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ফল-মুল ইত্যাদি খাবার বেশী বেশী খাওয়া উচিত
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :-
অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় কোষ্টকাঠিন্য এর জন্য নির্দিষ্ঠ সময় অন্তর অন্তর সব সময় ঔষধ খেয়ে যেতে হয়। রোগ নির্মূলের নির্দিষ্ট কোন ট্রিটমেন্ট নেই। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কোষ্টকাঠিন্য নির্মূলে খুব ভাল এবং কর্যকর রিমেডি রয়েছে। তাই এই সমস্যা সমাধানে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন।