এই মাহে রমজানে সুস্থ-সবল দেহ নিয়ে রোজা পালনের জন্য রইলো কিছু স্বাস্থ্য টিপস!

মাহে রমজান সঠিকভাবে পালন করার জন্য প্রয়োজন সুস্থ শরীর। আর তাই, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবারের রুটিন। এছাড়াও রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে প্রয়োজন রুটিন মেনে চলার একনিষ্ঠতা। আপনাদের রমজানের রোজা সুস্থ-সবল দেহ নিয়ে পালনের জন্য রইলো কিছু টিপস! দেখে নিন তবে রমজানে সুস্থতায় কী কী করণীয়!

১. রমজানে সুস্থতা পালনে শরীর চর্চার সঠিক সময় হচ্ছে ইফতারের ঠিক পূর্বে। তাই, ইফতারের ঘণ্টা দু-এক আগে নিজের শরীর চাঙ্গা রাখতে করুন হালকা ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম।

২. কম শারীরিক পরিশ্রম লাগে, কিন্তু উপকারী- এমন অ্যাকটিভিটিস বেছে নিন। যেমন, আধা ঘণ্টা করে নিয়মিত সময়ে হাঁটাহাঁটি করা। রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে এটা হতে পারে বেস্ট অ্যাকটিভিটিস!

৩. রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে ভারী ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। এতে করে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং পরবর্তী কিছু দিনের রুটিন ব্যায়ামে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রুটিন বজায় রাখার জন্য যতটুকু ব্যায়াম করা যায়, তা করে যান।

৪. যদি ব্যায়ামরত অবস্থায় মাথা ব্যথা করে, অথবা দুর্বল অনুভব করতে থাকেন, তবে সাথে সাথে ব্যায়াম থেকে সেদিনের জন্য বিরতি নিন।

৫. আপনি শারীরিকভাবে পারফেক্ট থাকলেও মনে রাখবেন, রমজানের রোজা আপনার দেহকে কিছুটা দুর্বল করে দিতে পারে। আর তাই, রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাবারের মেন্যু তৈরি করবেন।

৬. রমজানে সুস্থতা রক্ষার্থে সেহরি করবেন নিয়মিত। সেহরিতে আমিষ জাতীয় খাবারের চেয়ে শর্করা জাতীয় খাবার বেশি থাকলে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবেন। অতিরিক্ত পেট ভরে খাবেন না। যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করবেন। সম্ভব হলে ২/১টা ফল রাখবেন সেহরির মেন্যুতে।

৭. রামাদানের দাবদাহের দিনগুলোতে দুপুরে যতটা সম্ভব বাইরে না থাকার চেষ্টা করবেন। বৃষ্টি হলে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বের হবেন। ভিজে সর্দি-কাশি হলে তা রোজা রাখার অন্তরায় হতে পারে।

৮. রমজানে সুস্থতা বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস যেটি তা হলো- ‘ইফতারে গোগ্রাসে খাবার খাবেন না’। হালকা খাবার দিয়ে শুরু করুন, পানি জাতীয় খাবার বেশি করে খান। ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে ইফতার করবেন না। অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন। ভাজা-পোড়া খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৯. চা-কফি পান না করাই মঙ্গল। এতে করে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। চা-কফির স্থলে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা পানীয় পান করুন।

১০. গরমের মাহে রমজানের সময় বাজারে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বাহারি ফলের সমাহার। স্বাস্থ্যসম্পন্ন ফল দিয়ে সাজাতে পারেন ডেজার্টের মেন্যু।

১১. পানির কোন বিকল্প নেই। ঘুমানোর আগে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করবেন, যেন পানিস্বল্পতা দেখা না দেয়।

১২. ইফতারের পর ১৫-২০ মিনিটের জন্য বাইরে হেঁটে আসতে পারেন।

পবিত্র রমজান মাসে সুস্থতা বজায় না রাখলে রোজা অনেকেই রোজা রাখতে পারেন না। তাই, সুস্থ থাকতে এই টিপসগুলো মেনে চলুন এবং থাকুন ফিট রমজানেও!


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *